Diabetes symptoms: ঘন ঘন টয়লেটে যেতে হয়? রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়নি তো!
Frequent urination: বার বার টয়লেট পাওয়ার সমস্যা কিন্তু ডায়াবিটিসের প্রাথমিক লক্ষণ। তা হতে পারে ডায়াবিটিস ১ বা ২। যে কারণে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন...
বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মতো থাবা বসাচ্ছে ডায়াবিটিস। তবে সমস্যা হল, টাইপ ২ ডায়াবিটিস কিন্তু প্রথমেই ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে তখন শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায় অনেকখানি। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় নানা রকম ঝুঁকিও। যে কারণে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ ভীষণ ভাবে জরুরি। ডায়াবিটিস যদি একেবারেই প্রথম দিকে ধরা পড়ে তাহলে তা সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে। আপনাকে যদি বারে বারে বাথরুমে যেতে হয় তাহলে কিন্তু সেই লক্ষণ মোটেই ভাল নয়।
ডায়াবিটিসে যে সব সমস্যা হয়-
ডায়াবিটিস হলে শরীর গ্লুকোজকে ভেঙে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না, সেই সঙ্গে ইনসুলিও পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না। ইনসুলিন উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এবার রক্তে শর্করা জমতে শুরু করলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ গুলো ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে কিডনি, চোখ এসব আস্তে আস্তে কমজোরি হয়ে পুড়ে। এছাড়াও ডায়াবিটিস কিন্তু শরীরের প্রতিটি কোশকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও ক্লান্ত লাগা, চোখ জ্বালা করা, সব সময় ঘুম পাওয়ার মত উপসর্ত থাকেই। ,সবার শরীরে কিন্তু সমান উপসর্গ দেখা যায় না। এই অবস্থার ধীরে ধীরে অবনতি হয়। আর তাই সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারলে প্রথমেই সতর্ক হন। দেরি করলে কিন্তু বিপদ বাড়বে।
যদি বারে বারে বাথরুম পায়, রাত হলেই বাথরুম ঘন ঘন যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে, রাতে ঘুম কমে যায় তাহলেই চিকিৎসকের কাছে যান। ফোর্টিস হাসপাতাল, বেঙ্গালুরুর ইন্টারনাল মেডিসিনের সিনিয়র কনসাল্টট্যান্ট ড.আদিত্য এস চৌতির মতে, পলিউরিয়া বা ঘন ঘন প্রস্রাব ডায়াবিটিসের সুপরিচিত লক্ষণ। শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত, এনার্জি কমে গেলে এবং প্রস্রাবের এই সমস্যা হলেই ধরে নেওয়া হয় যে তিনি ডায়াবিটিস মেলিটাসে আক্রান্ত। সারাদিনে অর্থাৎ ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬-৭ বার প্রস্রাব কিন্তু স্বাভাবিক। এমনকী দিনে ৪ বার মলত্যাগও অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। যদি সেই ব্যক্তি শারীরিক ভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন। কিন্তু এর পরও যদি অন্য কোনও সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি। কারণ কিডনির ছাঁকনি প্রক্রিয়া তখন অনেক বেশি জটিল হয়ে পড়ে। ফোর্টিস হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজিস্ট ডঃ শ্রীনিবাস পি. মুনিগোটি বিষয়টি ব্যখ্যা করে বোঝান। তিনি বলেন, ঘন ঘন প্রস্রাব হলে তার সঙ্গে অনেকটাই শর্করা বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। আর কিডনি রক্ত থেকে অতিরিক্ত চিনি বের করে দেয় বলেই তা প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরোয়। এর ফলেই কিন্তু ২-৩ ঘন্টা ছাড়া বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হলে কিন্তু কিডনির এই সব সমস্যা আসে না। যত বেশি দেরি করবেন ততই চাপ বাড়বে কিডনির উপর।
অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল কিংবা ক্যাফেইন খেলে কিন্তু সেখান থেকেও আসতে পারে সমস্যা। অনেকের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বারে বারে বাথরুম পাওয়া, লিভারের সমস্যা, হাইপারক্যালসেমিয়া, কুশিং এর মত সমস্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে থাকে কুশিং সিনড্রোম, মানসিক চাপ। এই সবই হতে পারে ডায়াবিটিস ইনসিপিডাসের লক্ষণ।
আরও পড়ুন: Coronavirus: প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত উপসর্গহীন, দাবি সমীক্ষায়