জন্মের পর শিশু প্রথম যে খাদ্য খায় তা হল মাতৃদুগ্ধ। টানা ছয়-সাত মাস ওই দুধ (Milk) ছাড়া আর কিছু খায় না সে। এরপর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অভ্যাস পরিবর্তন হতে থাকে। কিন্তু খাদ্যতালিকা থেকে কখনও বাদ যায় না দুধ। আর এখন গরুর দুধের পাশাপাশি আমন্ড মিল্ক, সোয়া দুধ, ওটসের দুধের চাহিদাও রয়েছে। ১ দিন বয়স থেকে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত যে কোনও মানুষ দুধ পান করতে পারে। কারণ দুধ হল একটি কমপ্লিট ডায়েট। এর মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল। মূলত দুধ ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের মূল উৎস। হাড়ের ক্ষয় ধরলে চিকিৎসকরা দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু সবার শরীরের (Health Care) জন্য যে দুধ ভাল এমনটা নয়। কারও কারও শরীরে দুধ কু-প্রভাবও ফেলতে পারে।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স- ছোট বয়সে খুব সহজে ধরা পড়ে না এই সমস্যা। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয় ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের সমস্যা। দুধের মধ্যে ল্যাকটোজ থাকে। বয়স বাড়লে অনেক সময় শরীর এই ল্যাকটোজ গ্রহণ করতে চায় না। এর ফলে দেখা দেয় বদহজম, গ্যাস এবং অ্যালার্জির সমস্যা। এই ক্ষেত্রে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য থেকে দূরে থাকা উচিত।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা- বদহজমের সমস্যা থাকলে বিশেষজ্ঞরা দুধকে এড়িয়ে যেতে বলেন। যাঁদের প্রথম থেকেই গ্যাস, অম্বলের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের দুধ না পান করাই ভাল। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার ক্ষেত্রে দুধ আরও সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ফ্যাটি লিভার- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা বর্তমান সময়ে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে দুধ এবং যে কোনও দুগ্ধজাত পণ্য এড়িয়ে চলা উচিত। লিভারের এই সমস্যা থাকলে দুধ সহজে হজম হয় না। এর পাশাপাশি দুধের কারণে অনেক সময় লিভারে প্রদাহ তৈরি হয়।
ওবেসিটি- বর্তমানে সমস্যা দাঁড়িয়ে ওবেসিটি একটি বড় সমস্যার রূপ নিয়েছে। এর পিছনেও দায়ী অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা। ওবেসিটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকা জরুরি। আর দুধ ফ্যাটের দারুণ উৎস। এই ক্ষেত্রে দুধ আপনার শরীরে খারাপ প্রভাবও ফেলতে পারে। এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।