দেশে কোভিডের গ্রাফ নিম্নমুখী (Covid Graph)। গত বুধবার নতুন করে ১,৭৭৮টি নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তবে ওমিক্রনের BA.2 ( Omicron BA2) উপ ভ্যারিয়েন্টটিই এখন সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ইউরোপ, চিনে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ব্রিটেন ( ৯৫,০৯৮), ফ্রান্স ( ১৯.১৩৪), জার্মানি (৯২,৩১৬), ইতালি (৩৩,৪৪৫)-এর মত দেশগুলিতে। চিনে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৭৭০। সম্প্রতি নিউজ নাইনে প্রকাশিত নিবন্ধ অনুসারে চতুর্থ ঢেউয়ের জন্য আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে ভারত। যেহেতু বিশ্বজুড়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাই বিশেষজ্ঞদের মনে হয়েছে ভারতেরও প্রস্তুত থাকা দরকার। বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র সরকার বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। যেখানে যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলার আর্জি জানানো হয়েছে জনসাধারণকে। কারণ তৃতীয় তরঙ্গে (COVID Third Wave) সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল মহারাষ্ট্রের।
মহারাষ্ট্রের কোভিড-টাস্ক ফোর্সের সদস্য, মহারাষ্ট্র ডাঃ সুশান্ত যোশী যেমন জানিয়েছেন, কোভিডের চতুর্থ ঢেউ আটকাতে রাজ্যে শিশুদের জন্য হাসপাতালে শয্যা বাড়ানো হয়েছে। ৬০০ থেকে তা ২,৩০০ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যে সব শিশু কোভিডে গুরুতর আক্রান্ত হতে পারে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হয়েছে। তৈরি হচ্ছে বিশেষ চিকিৎসক দল। এছাড়াও কোভিড সংক্রমণে যে সব শিশুর থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি রয়েছে তাদের জন্য ৫০০ টি বেড প্রস্তুত করা হচ্ছে।
যোশী আরও জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS) নাগপুরেও কোভিড রোধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ডিসপ্লে বোর্ড এসব তো আছেই, সেই সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে সকলকে সচেতন করার কাজও চলছে। এছাড়াও আইসিইউ বেডের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের AIIMS-দিল্লিতে স্থানান্তরের পরিবর্তে যাতে সেখানে রেখেই চিকিৎসা করা যায় সেই ব্যবস্থা চলছে।
প্রস্তুতি চলছে গুজরাতেও। পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সিলিন্ডার, ভেন্টিলেটর, হাসপাতালে শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গুজরাতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ অমি পারিখ যেমন জানিয়েছেন, চতুর্থ বা পঞ্চম ঢেউ যাই আসুক না কেন তাঁরা সবকিছুর জন্য প্রস্তুত। এখনও পর্যন্ত মোট ৯৭ হাজার শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ হাজার অক্সিজেন শয্যা, ১৫ হাজার ক্রিটিক্যাল বেড আর ৮ হাজার ভেন্টিলেটর বেড রয়েছে। এছাড়াও গুজরাত রাজ্যের অধীনে স্বাস্থ্যকেন্দ্র, উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রতে মোট ৩,৮৪০ টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও হাসপাতালগুলিতে তৈরি করা হয়েছে অক্সিজেন স্টোরেজ ট্যাঙ্ক। সেই সঙ্গে নার্সদেরও পর্যাপ্ত ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যাতে কোথাও কোনও অসুবিধে হলে যেখানে নার্সদের চাহিদা পূরণ করা যায়।
অক্সিজেন স্টোরেজ ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে দিল্লিতেও। সেই সঙ্গে মৃদু উপসর্গের ব্যক্তিরা যাতে হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হতে পারেম তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর তাই দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে হোম আইসোলেশনেই। একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, রাজস্থানেও।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।