বেশিরভাগ মানুষ দিনের শুরুতে ওয়ার্কআউট করেন। ঘুম থেকে উঠে, একটু ফ্রেশ হয়ে শরীরচর্চা করেন। খুব বেশি হলে এক গ্লাস জল পান করেন। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে, খালি পেটে ব্যায়াম করাকে ফাস্টেড ব্যায়াম বলা হয়। আবার অনেকে হালকা ব্রেকফাস্টে করে জিমে যান। কিন্তু আপনার জন্য কোনটা জানেন? অর্থাৎ আপনি খালি পেটে ব্যায়াম করবেন নাকি ভরপেট খাবার খেয়ে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খালি পেটে শরীরচর্চা করলে, তাকে ফাস্টেড ব্যায়াম বলা হয়। অন্যদিকে, খাবার খেয়ে ব্যায়াম শুরু করলে, সেই খাদ্য থেকে কার্বোহাইড্রেট ব্যবহার করে দেহে শক্তি উৎপন্ন হয়। তাই খালি পেটে শরীরচর্চা করলে দেহে শক্তি উৎপন্ন করার জন্য অতিরিক্ত কসরত করতে হয়। এতে দ্রুত ফ্যাট গলতে শুরু করে। তাই খালি পেটে ব্যায়াম করলে সহজেই ওজন কমানো যায়।
সকালবেলা ইনসুলিনের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। মূলত দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে দেহে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে আপনার শরীর শক্তির জন্য সঞ্চিত চর্বিকে ব্যবহার করে। এতেও ওজন কমে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে ব্যায়াম করলে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত হয়। তাই সকালবেলা ওয়ার্কআউট করলে অনেকেই হালকা বোধ করে। এই বিষয়গুলোই আপনাকে ওজন কমাতে আরও সাহায্য করে।
খালি পেটে শরীরচর্চা করার ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে। যেহেতু ইনসুলিনের মাত্রা ঠিকঠাক থাকে না, তাই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার খালি পেটে শরীরচর্চা করলে অনেকেই শক্তি ও স্ট্যামিনার অভাব বোধ করেন। এতে ওয়ার্কআউটের তীব্রতা এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস হতে পারে। পাশাপাশি অনেকেই অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। হালকা মাথা ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দেয়। এক্ষেত্রে শরীরচর্চা শুরু করার আগে হালকা খাবার খাওয়া দরকার। বাদাম, বীজ, ফলের মতো পুষ্টিকর খাবার খেতে পারেন।
আপনি যদি দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাহলে খালি পেটে ওয়ার্ক আউট করা শুরু করুন। কিন্তু শরীরচর্চা করার সময় হাইড্রেটেড থাকা জরুরি। তাই ব্যায়াম করার আগে এবং ব্যায়াম করার সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে থাকুন। এমনকী ব্যায়াম করার পরেও জল পান করুন। ব্যায়াম করার পরেও প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটেড সমৃদ্ধ খাবারের উপর জোর দিন। ওয়ার্কআউটের পর যদি সুষম আহার না খান, তাহলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। তখন ওজন কমাবেও না, তার পরিবর্তে নানা রোগ চেপে ধরবে।