ভারতীয় রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সরষের তেল। এটি রান্না, ম্যাসেজ এবং এমনকি ঠাকুরঘরেও নিয়মিত ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। শুধু সরষের তেল নয়, অন্যান্য তেল যেমন জলপাই, ক্যানোলা, সূর্যমুখীও আমাদের ওজন কমানোর যাত্রায় যথেষ্ট পুষ্টিগুণ এবং সাহায্য প্রদানের জন্য সুপরিচিত।
উচ্চ প্রক্রিয়াজাত তেল শরীরের জন্য কখনওই ভাল নয়। তারা আপনাকে যথাযথ পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে। সেই পুষ্টিতে থাকা স্বাস্থ্য উপকারিতা থেকে বঞ্চিত করার পাশপাশি আমাদের শরীরের ক্ষতিও করে। তবুও, সরষের তেল আপনার শরীরকে ফিট, সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ওজন কমানোর জন্য সরষের তেল:
সরষের তেলে রান্না করা খাবার খিদে কমাতে সাহায্য করে। এতে পেট ভরা থাকে। সরষের তেলে উপস্থিত থার্মোজেনেসিস শরীরে উৎপন্ন তাপের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়। এর পাশাপাশি সরষের তেলে রান্না করা খাবার সহজে হজম হয় এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। বিপাক বৃদ্ধির ফলে আমাদের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে তাড়াতাড়ি চর্বি পুড়তে পারে।
হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য সরষের তেল:
সরষের তেল মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ যা হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। এটি কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। সরষের তেল ট্রাইগ্লিসারাইড, রক্তচাপ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই সব হৃদরোগের ঝুঁকির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য সরষের তেল:
সরষের তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বককে সঠিকভাবে পুষ্টি দিতে পারে। সরষের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ত্বকের বলিরেখার পরিমাণ কমে যায়। গরম সরষের তেল চুলে লাগালে তা চুলের বৃদ্ধি বাড়ায় এবং তাকে গোড়া থেকে মজবুত রাখে। এর পাশাপাশি আপনি আপনার ফেসপ্যাকে সরষের তেলও যোগ করতে পারেন।
জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সরষের তেল:
সরষের তেলে অ্যালিল আইসোথিওসায়ানেট থাকে। এই যৌগ শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি সর্ষের তেল আলফা-লিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটি এক ধরনের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রদাহ এবং ছোটখাটো বুকজ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
ঠাণ্ডা নিরাময়ের জন্য সরষের তেল:
এই তেলটি ঠান্ডা নিরাময়ের জন্য একটি অতি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক প্রতিকার। আপনি যখন ঠান্ডা বা ফ্লুতে ভুগছেন, আপনি বুকে গরম সরষের তেল লাগাতে পারেন। এটি সেই অবস্থায় বুকে জমে থাকা কফ অপসারণে সাহায্য করে। পাশপাশি শরীরের তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ