বিশ্বজুড়েই নামতে শুরু করেছে কোভিডের গ্রাফ। কমছে আক্রান্তের সংখ্যাও। যদিও চিন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে কোভিড। কোভিডের গ্রাফ নামতে শুরু করতেই আবারও আগের রুটিনে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। দীর্ঘ দু বচর পর স্কুল খুলেছে। যে সব অফিস এতদিন ওয়ার্ক ফ্রম হোমে চলছিল সেই সব অফিসেও আসতে শুরু করেছেন কর্মীরা। উৎসব, অনুষ্ঠান, যানবাহন চলাচল- সব মিলিয়ে ফের আগের ছন্দে ফেরার প্রস্তুতি শুরু করেছে মানুষ। তবে ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ কিন্তু এখনও কাটেনি। সামান্য ঠান্ডা লাগা কিংবা সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলেও অনেকে ধরে নিচ্ছেন যে তিনি কোভিডে আক্রান্ত। যদিও বসন্তে যে কোনও সমস্যাই বাড়ে। আর সেই তালিকায় সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে গলা ব্যথার সমস্যা সবই কিন্তু থাকে। ঋতু পরিবর্তনে খুব তাড়াতাড়ি আমাদের ঠান্ডা লেগে যায়। ফলে গলা ব্যথা, পেটের সমস্যা, কাশি, গলা চুলকোনো, গলা শুকিয়ে যাওয়া এই সব সমস্যা থাকতেই পারে। যেহেতু কোভিড আর সাধারণ ফ্লু এর উপসর্গ কিছুটা একই রকম তাই অনেকেই ঠিক বুঝতে পারেন না যে তিনি কীসে আক্রান্ত।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখনও পর্যন্ত সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, ক্লান্তি, গলাব্যথা এবং কিছুক্ষেত্রে স্বাদ-গন্ধর অনুভূতি চলে যাওয়া। তবে যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের সকলেরই ক্ষেত্রে গলা ব্যথার সমস্যা ছিল। কিছুজনের ক্ষেত্রে নাক দিয়ে জল পড়া, ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, রাতে ঘাম দেওয়া এসব অনেক দিন পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। কোভিডে মূলত আক্রমণ হয় শ্বাসযন্ত্রে। ফলে গলা চুলকোনো, কাশি এসব সমস্যা কিন্তু লেগেই থাকে। যদিও কোভিডের আগের দুই তরঙ্গের তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণ ছিল হালকা। আর এক্ষেত্রে ফুসফুস ততটাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ওমিক্রনের সংক্রমণ হলে রোগ লক্ষণ প্রকাশ পেতে ৪-১০ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। কিন্তু সাধারণ ঠান্ডা লাগার সমস্যা হলে এই সময়টা আরও কম লাগে।
কোভিড হলে জ্বর, কাশি, ক্লান্তির সঙ্গে পেটের নানা সমস্যা থাকে। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার মত উপসর্গ থাকে। কিন্তু সাধারণ ঠান্ডা লাগার সমস্যায় তা থাকে না। এছাড়াও সিজন চেঞ্জে গলা ব্যথা হলে ঠান্ডা লাগা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে জল পড়া এইসব সমস্যা থাকে। আর দু-তিন দিনের মধ্যে তা সেরে যায়। কিন্তু যদি দেখেন দু-তিনদিনের মধ্যে তা কমছে না তবে কিন্তু RT-PCR পরীক্ষা অবশ্যি করাবেন। যদি শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, মাথা ঘোরার মত সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। আর তাই সর্দি, কাশির মত সমস্যা হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলুন। কারণ কোভিড এখনও দূর হয়নি। সেই সঙ্গে ভ্যাকসিন নিতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।