KK Birth Anniversary: স্মরণে-মননে থাকুক কেকে! জীবন বাঁচাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাধারণ লক্ষণগুলি চিনে রাখুন

Cardiac Arrest Symptoms: বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন সেলেব্রিটির। শুধু সেলেবদের জীবনেই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনেও এমন আকস্মিক ঘটনা ঘটতে পারে।

KK Birth Anniversary: স্মরণে-মননে থাকুক কেকে! জীবন বাঁচাতে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সাধারণ লক্ষণগুলি চিনে রাখুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2022 | 5:27 PM

‘হাম, রাহেন ইয়া না রাহেন কাল’-এ গান যেন এখনও কাঁদায়। এখনও পর্যন্ত অনেক ভক্তই মনে করেন, কে কে না জানার দেশে ফিরে যায়নি, অন্তরে অন্তরে , গানে গানে এখনও জীবিত। স্মরণীয় এই অসাধারণ গানটি শুনলেই ডুকরে ওঠে প্রিয় গায়কের স্মৃতিতে। এই তো সেদিনের ঘটনা। এখনও সকল পরম ভক্তের কাছে দুঃস্বপ্নের দিন। হিন্দি শুধু নয়, বাংলা ভাষাতেও অনেক গানে সুর দিয়েছেন কেক। আজ তাঁর জন্মবার্ষিকী। এই বছর এই সুন্দর গানের মাধ্যমেই মাটির মানুষকে শ্রদ্ধা জানানোর দিন। চলতি বছরের ৩১ মে, কলকাতায় এক কনসার্টে পারফর্ম করার পর বুকে ব্যথা ও অস্বস্তি হলে তাঁকে তরিঘরি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়ষ সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। চিকিত্‍সকরা জানিয়েছিলেন, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়ে এই জনপ্পিয় গায়কের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও কৃষ্ণকুমার কুন্নাথকে ভোলা সম্ভব নয়। তাঁর সেই প্রাণবন্ত, মন ভোলানো সুর আবার ফিরে না পেলেও তাঁর কিছু ভুল আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। বর্তমানে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজন সেলেব্রিটির। শুধু সেলেবদের জীবনেই নয়, সাধারণ মানুষের জীবনেও এমন আকস্মিক ঘটনা ঘটতে পারে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল যখন হৃদযন্ত্রের পাম্পিং ক্রিয়া হছাত করে বন্ধ হয়ে যায়, শ্বাস-প্রশ্বাস ও চেতনা হ্রাস পায়। জীবনরক্ষাকারী পরিমাপ হিসেবে এই ক্ষেত্রে একজন রোগীর অবিলম্বে চিকিত্‍সার প্রয়োজন। উপেক্ষা করার ফলে হৃদপিন্ডের পশিগুলির অপরিবর্তনীয় ক্ষতি ও মৃত্যু হতে পারে। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিত্‍সার জন্য প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। কোন কোন লক্ষণগুলি দেখে বুঝবেন আপনি হৃদরোগে আক্রান্ত, তা জানুন

– চেতনা হ্রাস

– শ্বাসকষ্ট,

– বুকে ব্যথা

– হালকা মাথাব্যথা

– মুর্ছা যাওয়া বা অচৈতন্য হয়ে পড়া

– নিঃশ্বাস নিতে গিয়ে কষ্টবোধ হওয়া

– বুক ধড়ফড় করা

কে কে -র ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি উপসর্গ শরীরে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেগুলি উপেক্ষা করা হয়ছিল। সময়মত গায়ককে বাঁচানোর জন্যও সঠিক ব্য়বস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। কনসার্টের সময় গায়ক অতিরিক্ত ক্লান্তির কথা জানিয়েছিলেন। যা ছিল প্রথম সতর্ককীকরণের ইঙ্গিত। তিনি যেখানে পারফর্ম করছিলেন, সেখানে এত বেশি মানুষের ভিড় হয়ে গিয়েছিল যে অক্সিজেনের অভাব ঘটছিল। ঠিকভাবে বায়ু চলাচলও হচ্ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ও ছবিতে দেখা যায় তিনি গান করতে করতে অতিরিক্ত ঘামছিলেন। কিন্তু তাঁর মধ্যেই পারফর্ম করে যাচ্ছিলেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পারফর্ম করার পর চরম অস্বস্তি হওয়ার পর তাঁকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। সরাসরি ডাক্তারের কাছে না গিয়ে তিনি হোটেলের ঘরে বিশ্রাম নিতে পছন্দ করেছিলেন। এমন সময় তার অবস্থার আরও অবনতি হলে কেকে-কে শুইয়ে স্ট্রেচারে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় তাঁর টিম। সেখানে গেলে তাঁকে মৃত বল ঘোষণা করা হয়। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর বাহুতে যে ব্যথা হচ্ছিল, তা তিনি উপেক্ষা করে গিয়েছিলেন।

হার্ট অ্যাটাকের আগে সব রকম সতর্কতার ইঙ্গিত পেয়েছিলেন কেকে। কিন্তু সঠিক সতর্কতা গ্রহণের ফলে সঙ্গীতজগতকে কাঁদিয়ে কিংবদন্তীর মৃত্যু হয়। তাই তাঁর জন্মবার্ষিকীতে কে কে -কে স্মরণ করার মধ্যে দিয়েই ভক্তদের হৃদয় কীভাবে সুস্থ রাখা যায়, কার্ডিয়াক অ্য়ারেস্টের আগাম ইঙ্গিত কীভাবে বোঝা যায়, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কীভাবে করবেন, সেই নিয়ে একটু সাবধানে থাকার চিন্তা করা যেতে পারে।