Menstrual Diet: গরমে পিরিয়ডের সমস্যা এড়াতে যে সব খাবার ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

May 05, 2022 | 7:05 PM

Painful Periods Causes: পিরিয়ডসের সময়ে পেটে ব্যথা, পায়ের পেশিতে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, খিদে মন্দা, ডায়ারিয়া, বমি বমি ভাব ইত্যাদি সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। গরমের দিনে এই যন্ত্রণা আরও কিছুটা বেড়ে যায়...

Menstrual Diet: গরমে পিরিয়ডের সমস্যা এড়াতে যে সব খাবার ডায়েটে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা

Follow Us

Painful Periods: পিরিয়ড বা মাসিক খুবই স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। কিন্তু সব মেয়েকেই পিরিয়ডের দিনগুলোতে কিছু না কিছু সমস্যায় পড়তে হয়। তলপেটে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পায়ে ক্র্যাম্প ধরা, শরীর ফুলে যাওয়া, স্তন ভারী হয়ে যাওয়া, বদহজম, বমি ভাব, খিদে মন্দা—একাধিক সমস্যা থাকে। কেউ কোনও রকম ওষুধ ছাড়া মুখ বুঝে ব্যথা, অস্বস্তি সহ্য করে নেন। আবার কেউ মাসের ওই কয়েকটা দিন মুঠো-মুঠো ব্যথার ওষুধ, হজমের ওষুধ এসবও খান। গরমে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা বাড়ে। অধিকাংশ দিন হজমের সমস্যা, পেটের গোলমাল, গ্যাস-অম্বল এসব লেগেই থাকে। এর সঙ্গে যদি পিরিয়ডের ব্যথা যুক্ত হয়, তাহলে শারীরিক কষ্ট যে কয়েকগুণ বেড়ে যায় এ ব্যাপারে কোনও দ্বিমত নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঋতু পরিবর্তন প্রভাব ফেলে পিরিয়ডের উপরও। গরমের দিনে পিরিয়ড চলাকালীন যন্ত্রণা আরও বড়ে। দায়ী অতিরিক্ত গরম আর পরিশ্রম। চিকিৎসকেরা বলছেন, গরমের দিনে রোজকার ডায়েটে পরিবর্তন আনতে পারলে এই সমস্যার হাত থেকে মিলবে রেহাই। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরও থাকবে সুস্থ।

কেন গরমে বাড়ে পিরিয়ডের সমস্যা? 

গরমে ঘাম বেশি হয়। পরিশ্রমও তুলনায় বেশি হয়। ফলে এই সময় পেশি ক্লান্ত থাকে। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, মানসিক চাপ থাকলে মাসিকের সময় রক্তপাত যেমন বেশি হয়, তেমনই  তলপেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প এসবও তুলনায় বেশি হয়।

ইউটেরাসের মধ্যে এন্ডোমেট্রিয়াম নামের যে স্তর থাকে, মেন্সট্রুয়েশনের সময় তা প্রতি মাসে শরীর থেকে বের হয়ে যায়। ফলে তলপেটে ব্যথা হয়। এছাড়াও প্রতিবার মেন্সট্রুয়েশনের মাধ্যমে ইউটেরাসের গঠনে পরিবর্তন আসে। তবে অনেকেরই পিরিয়ডসের সময় ব্লিডিং যেমন বেশি হয়, তেমনই ব্যথাও থাকে। এই ব্যথাদায়ক পিরিয়ডকে ডিসমেনোরিয়া বলা হয়। এই ব্যথা বা ক্র্যাম্পস বেশি হলে তার সঙ্গে পিঠে ব্যথা, বমি ভাব, ডায়ারিয়া, মাথাব্যথা-সহ একাধিক সমস্যা থাকে। এই সমস্যাকে প্রিমেন্সট্রুয়াল সিনড্রোম বা PMS বলা হয়। এই ডিসমেনোরিয়া দুই রকমের হয়। এই প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়াতে সকলেই ভোগেন। জরায়ুর পেশিগুলি শক্ত হয়ে থাকে, এই সময় বিভিন্ন হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সেই পেশিতে টান পড়ে। ফলে ব্যথা বেশি হয়।

যাঁরা সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়াতে ভোগেন তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা মূলত আসে ২১ বছর বয়সের পর। এক্ষেত্রে ব্যথার মূল কারণ হল এন্ডোমেট্রিওসিস এবং জরায়ু ফাইব্রয়েডের সমস্যা। এই ব্যথা যত দিন গড়ায়, ততই বাড়তে থাকে। এমনকী পিরিয়ড শেষ হয়ে গেলে তারপরও হতে পারে।

এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে যা কিছু রাখবেন রোজকার খাদ্য তালিকায়- 

বিভিন্ন গোটা শস্য যেমন গম, ওটস, ব্রাউন রাইস এসব মনে করে অবশ্যই রাখুন রোজকার ডায়েটে। এছাড়াও ফাইবার, ভিটামিন বি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার রাখবেন তালিকায়। সেই সঙ্গে ফ্যাট ফ্রি দুধ, দই, লস্যি, বিভিন্ন প্রোবায়োটিক খাবার অবশ্যই খান। হজমে যাতে কোনও রকম গোলমাল না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। বিভিন্ন বাদাম, বীজ এসবও অবশ্যই রাখবেন। ভারতীয় মহিলাদের শরীরে আয়রনের পরিমাণ কম থাকে। আর তাই শাক-সবজি এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবারও মনে করে রাখুন রোজকারের পাতে।

Next Article