বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে শুধুমাত্র হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ মানুষের। যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে। কমবয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। আর তাই সময় থাকতেই হার্টের যত্ন নিতে হবে। হার্ট যদি দু৪বল হয়ে যায় তাহলে তা ঠিক করে পাম্প করতে পারে না। আর হৃৎপিণ্ড যখন দুর্বল থাকে তখন তা আরও বেশি করে পাম্প করতে শুরু করে। এই অতিরিক্ত হার্ট পাম্পের থেকেই হৃদরোগ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে এই সমস্যা একদিনে হয় না। দিনের পর দিন যদি এই সমস্যা হতে থাকে তখনই হার্ট ফেলের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে হার্ট যদি দুর্বল হয় তাহলে এই ৫ লক্ষণ প্রথম থেকেই দেখা দেয়।
প্রতিদিন যদি মাইগ্রেনের ব্যথা হয় তাহলে তাও কিন্তু হার্টের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে নিয়মিত মাইগ্রেনের ব্যথা হলে তা হার্টের জটিল সমস্যারই ইঙ্গিত তদেয়। এতে মূলত মাথার পিছনের দিকে ব্যথা হয়। আর তাই প্রথম থেকেই খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।
পা ফোলাও কিন্তু হার্টের সমস্যার লক্ষণ। একটানা পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে কিংবা গর্ভবতী অবস্থায় পা ফুলে যাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। যদি পা ফোলার সঙ্গে ক্লান্তি থাকে তাহলে তা হার্ট অ্যার্টাকেরই লক্ষণ।
সমতল থেকে একটু উচ্চতায় চড়লেই যদি অসুবিধে হয়, পেশীতে টান ধরে, শ্বাস নিতে সমস্যা হয় তাহলে তাও কিন্তু দুর্বল হার্টের লক্ষণ। যদি অ্যানিমিয়া থাকে তাহলেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম রক্ত থাকলেই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এছাড়াও হার্টের ভালভে ফ্যাট জমলে সেখান থেকেও শ্বাস নিতে সমস্যা হতে পারে। প্রায়শই নিতম্বে ব্যথা, পেশীতে টান ধরা এসব ফেলে রাখবেন না। আগেভাগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। রোজ নিয়ম করে ওয়ার্ক আউট জরুরি। পাশাপাশি ডায়েটও মেনে চলতে হবে।
সামান্য হাঁটাচলা, পরিশ্রম বা সিঁড়ি দিয়ে উঠলেই য়দি বুকে ব্যথা করে, হাঁপ ধরে তাহলেও কিন্তু সাবধান। হতে পারে কোনও রকম সংক্রমণ জনিত সমস্যা বা হৃদরোগে ভুগছেন। তাই আগে থেকেই সাবধানে থাকুন। হার্টের সমস্যায় ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি।