Human Blood: মানব রক্তে মিলল প্লাস্টিকের কণা! চাঞ্চল্যকর তথ্যে চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে

Plastic Pollution: এই প্রথমবার মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক সনাক্ত করেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক এর আগে মানুষের মলে পাওয়া গিয়েছিল। এবার রক্তে প্লাস্টিকের সূক্ষ্মকণা ধরা পড়ার কথা এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে জানিয়েছেন গবেষকরা।

Human Blood: মানব রক্তে মিলল প্লাস্টিকের কণা! চাঞ্চল্যকর তথ্যে চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 26, 2022 | 7:37 PM

এটাই বোধহয় বাকি ছিল। দৈনন্দিন জীবনে যে পণ্যগুলি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি, যেমন জলের বোতল, মুদির দোকানের ব্যাগ, খেলনা-সহ প্লাস্টিকের বহু জিনিসপত্র। আর সেই সব ব্যবহৃত প্লাস্টিকের মাধ্যমেই শরীরের (Human Body) প্রবেশ করছে।

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের একটি দল, এই প্রথমবার মানুষের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক সনাক্ত করেছে। মাইক্রোপ্লাস্টিক এর আগে মানুষের মলে পাওয়া গিয়েছিল। এবার রক্তে প্লাস্টিকের সূক্ষ্মকণা ধরা পড়ার কথা এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে জানিয়েছেন গবেষকরা।

গবেষণার জন্য ২২ জন সুস্থ মানুষের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭ জনের রক্তে মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছে। গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ২২ জনের সকলেই সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। তাদের শরীরে কোনও রোগ না থাকলেও পরে যখন পরীক্ষার নুমনা দেখা হয়, তখন চক্ষপ চড়ক গাছ বিজ্ঞানীদের। পলিথিন টেরেফথালেট (পিইটি), সাধারণত পানীয় প্যাকেজিংয়ে (কোমল পানীয়, জুস এবং জল); পলিস্টাইরিন, সাধারণত ডিসপোজেবল পাত্র, কাপ এবং পাত্র হিসাবে খাদ্য-পরিষেবা শিল্পে ব্যবহৃত হয়; এবং পলিথিন, মুদি এবং আবর্জনার ব্যাগের জন্য ব্যবহৃত, রক্তের নমুনাগুলিতে পাওয়া সবচেয়ে সাধারণ ধরণের প্লাস্টিক।

নমুনায় পিইটি প্লাস্টিক মিলেছে প্রায় ৫০ শতাংশ, পলিস্টেরিন ৩৬ শতাংশ ও পলিথিন ২৩ শতাংশ কণা পাওয়া গিয়েছে। ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির ইকোটক্সিকোলজিস্ট ডিক ভেথাক দ্য গার্ডিয়ানকে বলেছেন, তাদের গবেষণায় রক্তে পলিমার কণা সনাক্ত করা প্রথম। এটি একটি যুগান্তকারী ফলাফল এবং এটি অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়া যুক্তিসঙ্গত। এই গবেষণা আবারও এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ

মাইক্রোপ্লাস্টিকের কোন সর্বজনীনভাবে প্রতিষ্ঠিত সংজ্ঞা নেই, তবে প্রায়শই ৫ মিমি পর্যন্ত প্লাস্টিক কণা হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে, একটি গবেষণায় মানুষের মলে মাইক্রোপ্লাস্টিক সনাক্তকরণ করা গিয়েছিল। ৫ থেকে ১০ মিটারের মধ্যে প্লাস্টিক কণা মানুষের প্ল্যাসেন্টাল টিস্যুতেও সনাক্ত করা হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের এক গবেষণায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদ ঘটনা। বিজ্ঞানীরা সন্ধান পেয়েছেন যে মানব রক্তে মিলেছে মাইক্রোপ্লাস্টিক। এ ব্যাপারে ওই জার্নালে বলা হয়েছে, মানুষের রক্তপ্রবাহে প্লাস্টিকের কণার গ্রহণের পথগুলি মিউকোসাল যোগাযোগের মাধ্যমে হয় ইনজেশন বা ইনহেলেশনের মাধ্যমে হতে পারে। ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সূক্ষ্ম কণার চর্ম গ্রহণের সম্ভাবনা নেই,”। বায়ু, জল এবং খাদ্য ছাড়াও, গবেষকরা ব্যক্তিগত যত্নের পণ্যগুলিকে প্লাস্টিকের কণাগুলির (যেমন টুথপেস্টে PE, ঠোঁটের গ্লসে পিইটি), ডেন্টাল পলিমার, পলিমারিক ইমপ্লান্টের টুকরো, পলিমেরিক ড্রাগ ডেলিভারি ন্যানো পার্টিকেল (যেমন PMMA, PS) এর সম্ভাব্য এক্সপোজার রুট হিসাবে উল্লেখ করেছেন। ), ট্যাটু কালির অবশিষ্টাংশ (যেমন অ্যাক্রিলোনিট্রিল বুটাডিন স্টাইরিন কণা)।

গবেষণাপত্র্রে এও উল্লেখ করা হয়েছে, ”মানুষের সংস্পর্শে আসা প্লাস্টিকের অন্তত কিছু কণা জৈব উপলভ্য হতে পারে এবং যেমন পিত্তথলি, কিডনি বা অঙ্গে স্থানান্তর এবং জমা হওয়ার মাধ্যমে নির্মূলের হার শরীরের মধ্যে শোষণের হারের চেয়ে ধীর গতি সম্পন্ন।”

আরও পড়ুন: Air pollution in India: বাড়ছে ফুসফুসে সংক্রমণ, ক্যানসার, স্ট্রোকের মত মারাত্মক রোগ! এর পেছনে আসল রহস্য কী, জানাচ্ছেন চিকিত্‍সকরা