সেপ্টেম্বর মাসটাই আত্মহত্যা সচেতনতা ও প্রতিরোধের সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ সপ্তাহের প্রথম দিন । এরপর পুরো সেপ্টেম্বর মাস হল জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ সচেতনতা মাস হিসেবে চিহ্ণিত করা হয়।
একজন ব্যক্তি কী কারণে আত্মহত্যার মতো চরম ঝুঁকিকে বেছে নেন, কীভাবে সেই ব্যক্তিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া যায়, কিংবা যাঁরা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার উপযুক্ত মাস হিসেবে গন্য করা হয়। কারোর মনের গভীরে আত্মহত্যার চিন্তা শুপ্ত হয়ে আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাবেন না। কারণ অনেকেই বিশ্বাস করেন, কাউকে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো ধারণা হতে পারে তাঁর ক্ষতি চেয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করা হচ্ছে।
গবেষণা বলছে, মার্কিন দেশে প্রতিদিন গড়ে ১১২ জন আমেরিকান আত্মহত্যা করেন। ১৫-২০ বছর বয়সিদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা দেখা যায় সবচেয়ে বেশি। আত্মহত্যা সতর্কতার লক্ষণগুলি জেনে রাখা ভাল। সেগুলি হল,
১- মরতে চাওয়া বা নিজেকে হত্যা করার কথা বারবার বলা
২- নিজেকে হত্যা করার উপায় খুঁজছেন
৩- নিরাশ বোধ করা বা বেঁচে থাকার কোনও কারণ না থাকার কথা বলা
৪. আটকা পড়া লবা অসহ্য ব্যথার কথা বলা
৫. অন্যের বোঝা হওয়ার কথা বলা
৬. অ্যালকোহল বা ওষুধের ব্যবহার বাড়ানো
৭. উদ্বিগ্ন বা উত্তেজিত আচরণ করে আভিনয় করা, বেপরোয়া আচরণ করা
৮. খুব কম ও খুব বেশি ঘুমানো
৯. প্রত্যাহার বা বিচ্ছিন্ন বোধ করা
১০. রাগ দেখানো বা প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বলা
১১. চরম মেজাজ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়
আরও পড়ুন: Nerve Diseases: স্নায়ু রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী, ৬০ শতাংশ কলকাতাবাসী জানেনই না!