Children In Corona: করোনায় খুলছে স্কুল, কীভাবে শিশুদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখবেন?
যখনই ১৮ বছরের নিচে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, দ্বিধা করবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্লটের জন্য সাইন আপ করুন।
১৮ বছরের কম বয়সী শিশুরা অনেক বেশি দুর্বল হয়। তাই, কোভিডের মতো ভয়ঙ্কর সংক্রমণের হাত থেকে তাঁদের অনেক বেশি সুরক্ষিত রাখতে হবে নিজেদের। বিশেষ করে যদি এখনও টিকা নেওয়া না হয়ে গিয়ে থাকে।
এস্টার ডিএম হেলথকেয়ারের শিশু বিশেষজ্ঞ জেসন সি উন্নীর মতে, শিশুরা প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সংক্রমণ একই ধরনের। কারো ক্ষেত্রে কম বা কারো ক্ষেত্রে বেশি, এমনটা নয়।
“যদিও বেশিরভাগ শিশুদের উপসর্গবিহীন বা হালকা সংক্রমণ রয়েছে কিন্তু তারা অন্যদের কাছে সংক্রমণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। গুরুতর সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার প্রায়শই ছোট বাচ্চাদের ঘিরে লক্ষ্য করা যায়। কমোরবিডিটি আবার মূলত শিশুদের মধ্যেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রিপোর্ট করা হয়েছে। মূলত ৩-৬ সপ্তাহের উপসর্গহীন বা লক্ষণীয় সংক্রমণের পরে। “
এই সময়ে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য এখানে কয়েকটি টিপস দেওয়া হল:
যেহেতু ভারতের অনেক জায়গায় আবার স্কুল খুলেছে এবং শিশুদেরকে আবার ক্লাসরুমে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাই সব সময় কোভিড-উপযুক্ত পদ্ধতি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এক বছরেরও বেশি সময় পর বন্ধুদের এবং সহপাঠীদের সাথে পুনর্মিলনে উত্তেজনা বাড়তে পারে, তবে শিশুদের সামাজিক দূরত্বের কথা যতটা সম্ভব মনে রাখতে হবে। আপনি যদি চান, বাড়িতে একটি ক্লাসরুম তৈরি করে সেখানে মা, বোন, বাবাকে সহপাঠী সাজাতে পারেন। তারপর তাঁদের সাথে একটা নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি মানার অভ্যেস করতে পারেন। দুপুরের খাবার, জলের বোতল এবং অন্যান্য ভোজ্য জিনিস ভাগ করে না খাওয়ার কথা মাথায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি ঘণ্টায় ন্যূনতম ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
মাস্কিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বদা মুখে মাস্ক পরে থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। একটি আরামদায়ক কিন্তু ঠিক ঠাক গঠনের মাস্ক সঙ্গে রাখা জরুরি। নতুন মাস্ক, যেমন কিও লাইফের অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল লেপের একটি অনন্য সংমিশ্রণ ব্যবহার করে যা জৈব নির্যাস থেকে তৈরি। এই উপাদানগুলি, যখন নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মিশে যায় এবং মাস্কের পৃষ্ঠে আরও প্রয়োগ করা হয়, তখন ভাইরাসগুলিকে পৃষ্ঠে আটকে মেরে ফেলে। মোদ্দা কথায়, SARS-CoV-2 এর বিরুদ্ধে ঢাল প্রদান করে।
কোভিড আমাদের মধ্যে স্যানিটাইজেশন সচেতনতাকে একটি সার্বজনীন বিষয় বানিয়েছে। বন্ধুদের সাথে খেলতে, পরিবারের সাথে, অথবা স্কুল বা কোচিংয়ে বাইরে যাওয়া হোক না কেন, শিশুদের অবশ্যই তাদের সঙ্গে স্যানিটাইজার নিয়ে যেতে হবে। যদি আপনি বিভিন্ন জায়গা ঘন ঘন স্পর্শ করেন তবে প্রতি ২০-৩০ মিনিটে এটি ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
যখনই ১৮ বছরের নিচে ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, দ্বিধা করবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্লটের জন্য সাইন আপ করুন। এদিকে, পরিবারের সকল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিজেদের টিকা দেওয়া সবসময়ই ভাল, যেহেতু শিশুরা অসিম্পটোম্যাটিক হলেও ভাইরাসের বাহক হতে পারে।