উত্তর কোরিয়াতে ফের থাবা কোভিডের। বাড়ছে অজানা জ্বরে মৃত্যু। রবিবার, একদিনেই নতুন করে ১৫ জনের মৃত্যু হল। বিগত আড়াই বছর সংক্রমণের ছোঁয়াচ এড়িয়ে চললেও, চলতি সপ্তাহেই উত্তর কোরিয়ার (North Korea) প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। এই ঘোষণার পর থেকেই লক্ষাধিক মানুষের জ্বরে আক্রান্ত হওয়া ও মৃত্যুর খবর সামনে আসে। মৃত্যুর কারণ হিসেবে প্রশাসন আজানা জ্বরের কথা বললেও কিন্তু এর জন্য করোনাভাইরাসকেই দায়ী করছে সেই দেশের একাংশ। এর আগে কোভিড শূন্য দেশ হিসেবে নিজেদের কথা ঘোষণা করেছিল উত্তর কোরিয়া। এখন পর্যন্ত জ্বর-ফ্লু এর লক্ষণ রয়েছে সেই দেশের ২,৯৬,১৮০ বাসিন্দার মধ্যে। এছাড়াও টেস্ট করিয়েছেন ৮, ২০,৬২০ জন মানুষ। এপ্রিলের শেষ থেকেই ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই অজানা জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। আপাতত সেই দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকাতেও ফের শুরু হয়েছে সংক্রমণ। ওমিক্রনের দুটি সাব ভ্যারিয়েন্টের কারণেই বাড়ছে সংক্রমণ। গত তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। তবে আশার কথা এটাি যে মৃত্যুর সংখ্যা কিন্তু সেই ভাবে বাড়েনি। দক্ষিণ আফ্রিয়া এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে গড় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩০০। বর্তমানে তা ৩০০০ এ গিয়ে ঠেকেছে। তবে এখন নতুন করে যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের কারোরই রোগ-লক্ষণ তেমন নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উপসর্গ হালকা। আর উপসর্গ তেমন জটিল না থাকায় অনেকেই কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন না।
সে দেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যাঁদের শরীরে রোগ প্রতরোধ ক্ষমতা কম, টিকা নেওয়ার পরও গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত অনাক্রম্যতা তাদের ক্ষেত্রেই সমস্যা বেশি হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ককেই কোভিডের টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে কোভিডের গুরুতর সংক্রমণ ঠেকাতে যে ভ্যাকসিন কাজ করছে একথা স্বীরার করেছেন অনেকেই। যেহেতু দক্ষিণ আফ্রিকাতে এখন শীত তাই সেই দেশে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যাঁরা কোভিড পরীক্ষা করাতে আসছেন বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই ফ্লু এর লক্ষণ।
এখনও পর্যন্ত যে সব লক্ষণ দেখা গিয়েছে কোভিডের নয়া স্ট্রেনের তা হল-
শরীরে ব্যথা
গলা ব্যথা
নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া
মাথাব্যথা
মাথা ঘোরা- এসবই হল বর্তমান কোভিডের প্রাথমিক লক্ষণ। এখনও পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় যাঁদের সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁদের ওষুধ আর পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে টিকা ছাড়া যে গতি নেই একথা কিন্তু বার বার বলছেন চিকিৎসকরা। টিকা নিলে তবেই এড়ানো যাবে কোভিডের ঝুঁকি। কমবে মৃত্যু হারও। উত্তরর কোরিয়ায় অধিকাংশ মানুষ টিকা নেয়নি। যে কারণে সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে বলে মত প্রকাশ বিশেষজ্ঞদের।