Omicron update: ডেল্টার সংক্রমণ রুখে দিতে পারে ওমিক্রন অ্যান্টিবডি! দাবি নয়া সমীক্ষায়

যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তা ডেল্টা প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়াও যিনি একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁর কিন্তু পরবর্তীতেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে

Omicron update: ডেল্টার সংক্রমণ রুখে দিতে পারে ওমিক্রন অ্যান্টিবডি! দাবি নয়া সমীক্ষায়
একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হলেও দ্বিতীয়বার থেকে যায় সংক্রমনের সম্ভাবনা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 31, 2021 | 2:31 PM

ডেল্টার তুলনায় অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন। দু দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যাচ্ছে। এর আগে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন ওমিক্রন কমিয়ে দিচ্ছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমনকী যাঁরা কোভিড টিকা নিয়েছেন এবং ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের শরীরেও কিন্তু কমেছে অ্যান্টিবডি। ওমিক্রনের প্রভাবকেই কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ বলেছেন চিকিৎসকরা। তবে সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে দারুণ এক তথ্য। আর সেই তথ্য অনুসারেই, ডেল্টার ভাইরাসকে রুখে দেওয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে ওমিক্রন অ্যান্টিবডির। যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে তাই কিন্তু ডেল্টার বিরুদ্ধেও গড়ে তোলে অনাক্রম্যতা।

দক্ষিণ আফ্রিকাতেই মেলে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে এই দেশ রিপোর্ট পেশ করার পরই, ওমিক্রনকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে তকমা দেন স্বাস্ত্যকর্তারা। প্রথমে যে চার জনের দেহে ওমিক্রনের হদিশ মিলেছিল, তাঁদের কারোরই কোনও জটিল সমস্যা ছিল না। পরবর্তীতে এই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ে অনেকটাই। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিয়ায় ওমিক্রন থেকে সেরে ওঠা ১৫ জনের শরীরে একটি পরীক্ষা চালানো হয়। আর সেই পরীক্ষাতেই উঠে এসেছে চমকপ্রদ এই তথ্য। তবে ওমিক্রন নিয়ে আরও অনেক বিশদে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনের পাশাপাশি এখনও সংক্রমণ ছড়ানোর অবস্থায় রয়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টও। তাই যাবতীয় সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

ওমিক্রন আক্রান্ত হবার ১৫ দিন পর শরীরে ডেল্টা প্রতিরোধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যা সংক্রমনের হাত থেকে সুরক্ষা দেবে। কিন্তু সেই সঙ্গে এমনও তথ্য উঠে এসেছে, তাঁরা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন ওমিক্রনে। অর্থাৎ ওমিক্রনে একবার আক্রান্ত হলেও দ্বিতীয়বার সংক্রমনের সুযোগও কিন্তু থেকে যাচ্ছে। ডেল্টা এবং নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট দুটো ভাইরাসকে নিয়েই সমানতালে গবেষণা চালাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। ফলে তাই তাঁরাও নিশ্চিত হতে পারছেন না যে কোভিড টিকাকরণের জন্যই এই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিনা। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ওমিক্রন যদি ডেল্টা ভাইরাসকে স্থানচ্যূত করতে পারে, তাহলে আগামী দিনে কোভিড সংক্রমণ কিন্তু অনেকখানি হ্রাস পাবে। এমনকী কমবে রোগ-প্রকোপও। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।

তবে গত কয়েক সপ্তাহে ইউরোপ আমেরিকায় বেড়েছে ডেলমিক্রনের সংক্রমণ। ডেল্টা আর ওমিক্রনের সংমিশ্রণে এই রোগ-লক্ষণ কিছুটা জটিল। এবং যে কারণে বেড়েছে কোভিড পজিটিভিটি রেট। সেই সঙ্গে যাঁরা এই ডেলমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তচাঁদের অনেককেই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করতে হচ্ছে।  কিন্তু কতটা জটিলতা হতে পারে ডেলমিক্রনের প্রভাবে সে নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।

এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে মাত্র এক মাস আগেই। ফলেই ওমিক্রনের প্রভাবে আগামী দিনে জটিলতা আসবে কিনা সেই বিষয়ে এখনই কিছু নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। তবে টিকাকরণ ছাড়া গতি নেই, বার বার টিকার প্রয়োজনীয়তাই তুলে ধরছেন চিকিৎসকরা।