কোভিড (Covid) থেকে সেরে ওঠার পরেও অনেকের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের প্রকোপ। হচ্ছে মিউকরমাইকোসিস অসুখ। জানলে অবাক হবেন, এই বিরল ধরনের অসুখে ভোগার মূল কারণগুলি হল, দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, একটানা দীর্ঘদিন ধরে স্টেরয়েড ব্যবহার এবং রোজকার কিছু কুঅভ্যেস। বিশেষ করে ওরাল হাইজিন (oral hygiene) বা মুখগহ্বর জীবাণুমুক্ত রাখার স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলার কারণেই সহজেই বাসা বাঁধার সুযোগ পায় ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাস। অথচ এই অসেচতেনতার কারণে হতে পারে মৃত্যু!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে হিউমিডিফায়ারের ব্যবহার! কারণ সেক্ষেত্রে বাড়ছে আর্দ্রতা। আর আর্দ্রতার কারণে সংক্রমণের আশঙ্কাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে অক্সিজেন থেরাপিতে স্টেরাইল ওয়াটার বা জীবাণুমক্ত জল ব্যবহার করার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। দুর্বল রোগপ্রতিরোধী ক্ষমতা, মাত্রাতিরিক্ত স্টেরয়েড ব্যবহার এবং অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসও রোগীর মধ্যে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
মিউকরমাইকোসিস অসুখের লক্ষণগুলি হল (mucormycosis symptoms)—
– জিভ, মাড়ি ও মুখগহ্বরের কোষের বিবর্ণ হয়ে যাওয়া।
– নাক দিয়ে জল ঝরা ও নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া।
– গায়ে হাতে পায়ে তীব্র ব্যথা।
– মুখ ফুলে থাকা।
– চোখের পিছনে ভারী বোধ হওয়া।
– অস্বস্তি।
– জ্বর এবং মাথাব্যথা।
আরও পড়ুন: ইমিউনিটি বাড়াতে জিঙ্ক ক্যাপসুল খাচ্ছেন! এই ৫ খাবার খেলেই জিঙ্কের ঘাটতি মিটবে দ্রুত
চিকিৎসকরা বলছেন, এক্ষেত্রে মুখগহ্বর সংক্রান্ত কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এড়ানো যেতে পারে ব্ল্যাক ফ্যাঙ্গাসের সংক্রমণ—