শেহনাজ গিল। অপাপবিদ্ধ সরলতা আর শিশুসুলভ প্রকৃতির কারণে এক পলকে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠেন রিয়্যালটি শো বিগ বস-এর এই প্রতিযোগী। বিগ বসের সিজন শেষ হওয়ার পর শেহনাজ যখন প্রকাশ্যে আসেন তখন সকলেই বিস্ময়ে হাঁ যান। কারণ বিগ বসের সেই গোলগাল শেহনাজ নিজেকে সম্পূর্ণ পাল্টে ফেলেছিলেন। লকডাউনে শরীরের সমস্ত বাড়তি মেদ ঝরিয়ে তিনি তখন তন্বী! কীভাবে সম্ভব হল এমন অসম্ভব কাজ?
সম্প্রতি এক টেলিভিশন শোয়ে হাজির হয়েছিলেন শেহনাজ। সেখানেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন তার ‘ওয়েট লস জার্নি’র গল্প। কী ছিল সিক্রেট? দেখা যাক।
শেহনাজ জানিয়েছেন, ‘বিগ বস শেষ হওয়ার পরেই শুরু হল লকডাউন। তখন ভাবলাম একটা নতুন কিছু করলে কেমন হয় যাতে এরপর মানুষ আমাকে দেখলেই চমকে ওঠে?’
তাহলে কি ওজন ঝরাতে ডায়েটে কাড়া বিধিনিষেধ জারি করেছিলেন? শুরু করেছিলেন ভারী এক্সারসাইজ?
২৮ বছরের সুন্দরী শেহনাজ জানিয়েছেন— ‘ডায়েটে কোনও পরিবর্তনই করিনি। এমনকী কোনও কঠোর এক্সারসাইজও শুরু করিনি। বরং আগে যা খেতাম তাই খেয়ে গিয়েছি। শুধু খাবারের পরিমাণটা একটু কমিয়ে দিয়েছিলাম। ঘুম থেকে ওঠার পর আমি চা আর হলুদ জল পান করতাম। আজকাল অবশ্য আপেল সিডার ভিনিগার পান করে দিন শুরু করি। প্রাতঃরাশে মাঝেমধ্যে খাই সবুজ মুগ। এছাড়া থাকে ধোসা অথবা মেথির পরোটা। মোট কথা উচ্চ মাত্রার প্রোটিনযুক্ত ব্রেকফাস্ট করি আমি। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমার ৭০ শতাংশ ফোকাস থাকে ডায়েটের প্রতি।’ শেহনাজ নিজেই জানিয়েছেন, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের সঙ্গে পর্যাপ্ত মাত্রায় জলপানও জরুরি— ‘আমি প্রচুর জল খাই। জলের স্বাদ বাড়ানোর জন্য আমি স্ট্রবেরি আর শশার টুকরো যোগ করে দিই।’ স্বাভাবিকভাবেই জল পান কখনওই একঘেয়ে হয় না শেহনাজের কাছে। স্ট্রবেরি, শশা আর জল ত্বক উজ্জ্বল রাখার পক্ষেও অত্যন্ত দরকারি উপাদান।
তাহলে যে এত লোক জিমে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা?
শেহনাজ কিন্তু মোটেই একমত হতে পারছেন না বিষয়টার সঙ্গে। তাঁর মতে— ‘যে কেউ চাইলে ঘরে বসেই ওজন কমাতে পারেন। ঘরের মধ্যেই ঘুরে ঘুরে হাঁটাহাঁটি করা যায়।’
সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে উঠলেও, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ঘনিষ্ঠ বন্ধু সিদ্ধার্থ শুক্লার মৃত্যুর পর ব্যক্তিগত জীবনে ভয়ংকর মানসিক আঘাত পান শেহনাজ। এরপর ডিসেম্বর মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়োয় শেহনাজকে এক বন্ধুর দেওয়া পার্টিতে নাচতে দেখে তাকে নিয়ে ট্রোলের বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। বদনাম করার সেই প্রচেষ্টাও তিনি সামলেছিলেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। ট্রোলবাজদের উত্তর দেন— ‘যদি আমার কাছে হাসার সুযোগ থাকে, তাহলে আমি হাসব এবং আনন্দে থাকব। যদি আমার দিওয়ালির মতো উদযাপন করতে ইচ্ছে হয়, আমি করব, কারণ বাঁচতে হলে খুশি থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি কেন আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলব? আমি কাউকে উত্তর দিতে বাধ্য নই। সিদ্ধার্থ আমাকে কখনও হাসতে নিষেধ করেনি। বস্তুতঃ ও চাইত আমি যেন সবসময় আনন্দে থাকি। অতএব আমি হাসব। কাজ করব। জীবনে এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: Bedtime Rituals: মুক্তোর মত চকচকে সাদা দাঁত পেতে রাতে শোওয়ার আগে এই নিয়মগুলি মানতেই হবে