মিষ্টি আলু স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। এতে উচ্চ শর্করা এবং ক্যালোরি রয়েছে। মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণে ভরপুর। এটি প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনে সমৃদ্ধ। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, যাঁরা শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, আর্থ্রাইটিসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং পাকস্থলীর আলসার মোকাবেলায় তাঁদের জন্য মিষ্টি আলুর পুষ্টি খুবই উপকারী। কিন্তু এটি অনেক স্বাস্থ্য সমস্যাও সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে কী-কী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে, চলুন দেখে নেওয়া যাক…
কিডনিতে পাথর
মিষ্টি আলুতে অক্সালেট বেশি থাকে। এটি এক ধরনের জৈব অ্যাসিড। যাঁদের কিডনিতে পাথর রয়েছে তাঁদের ডায়েটে খুব বেশি মিষ্টি আলু যোগ করা উচিত নয়। উপরন্ত তাঁদের এই শীতে মিষ্টি আলু খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। অক্সালেট ব্যথা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
পেটে অস্বস্তি
মিষ্টি আলুতেও ম্যানিটোল থাকে। এটি এক ধরনের কার্বোহাইড্রেট। যদিও এই কার্বোহাইড্রেট খাওয়াতে কোনও ক্ষতি নেই, তবে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে, পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য আরও সমস্যা তৈরি করতে পারে। মিষ্টি আলু অত্যধিক গ্রহণে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা এবং ফোলাভাব হতে পারে। তাই যাঁরা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের এড়িয়ে চলা উচিত।
ডায়াবেটিস
মিষ্টি আলুতে কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে এবং এটি স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মিষ্টি আলু খাওয়া ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে। মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ডায়টেরি ফাইবার থাকে এবং এতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে, যা শরীরে রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তবে এটি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া উচিত নয়। এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যেতে পারে।
হার্টের সমস্যা
মিষ্টি আলু পটাশিয়ামের একটি ভালো উৎস। সুতরাং, মিষ্টি আলু আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি হার্টের সমস্যার ঝুঁকি কমায়। কিন্তু অতিরিক্ত সেবন করলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। অতিরিক্ত পটাশিয়াম গ্রহণের ফলে হাইপারক্যালেমিয়া বা পটাসিয়াম বিষাক্ততা হতে পারে এবং এখান থেকে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ বেশি থাকে। এই ভিটামিনের অত্যধিক গ্রহণ শরীরে বিষাক্ততা সৃষ্টি করতে পারে। এটি মাথাব্যথা এবং ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে খুব বেশি ভিটামিন এ খাওয়ার ফলে চুল পড়া, ঠোঁটের ক্ষতি এবং শুষ্ক, রুক্ষ ত্বক হতে পারে। অতিরিক্ত ভিটামিন এ গ্রহণ লিভারেরও ক্ষতি করতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে উঠেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়? কাজে আসতে পারে ঘরোয়া প্রতিকার
আরও পড়ুন: ঋতুস্রাব চলাকালীন মহিলাদের ঘন ঘন মেজাজ পরিবর্তন কেন হয় জানেন?