স্থূলত্ব (Obesity) এখন সমগ্র বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের সমস্যা। স্থূলত্ব বাড়ায় ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, অস্টিওআর্থ্রাইটিসের সমস্যা। তাছাড়া মাত্রাতিরিক্ত ওজনের প্রভাব পড়ে রোজকার জীবনে। স্ফূর্তি কমে যায়। হ্রাস পায় ফিটনেস। তাই প্রত্যেকেই চায় স্লিম-ট্রিম হয়ে নীরোগ জীবনযাপন করতে। সকলেই চায় একটা অব্যর্থ উপায় যাতে ওজন কমবে (losing weight) অনায়াসে। অথচ শরীরে অপুষ্টিও আসবে না। জানলে অবাক হবেন, চলতি গ্রীষ্মেই (Summer Season) আপনি কমিয়ে ফেলতে পারেন কয়েক কিলো ওজন! আপনার হাতে রয়েছে এমন এক উপায় যা মেনে চললে নিশ্চিত ফল মিলবে। শুধু খেতে হবে মরশুমি কিছু ফল! হ্যাঁ, ঠিকই, গ্রীষ্মের বেশিরভাগ ফলই ভিটামিন, ফাইবার এবং অন্যান্য জরুরি খাদ্যগুণে ভরপুর। ফলে শুধু শরীর নয় মনেরও স্বাস্থ্য উন্নত করবে গ্রীষ্মের ফল।
গ্রীষ্মের বেশ কিছু ফলে ক্যালোরির মাত্রাও থাকে কম। তাই ফলগুলি খেলে পেট ভর্তি থাকে। অথচ শরীরে ক্যালোরি প্রবেশ করে সামান্য। ওজনও বাড়ে না। এখানেই শেষ নয়। মনে রাখবেন, গ্রীষ্মের ফলগুলিতে জলীয় উপাদানের মাত্রা এতখানিই যে শরীর সবসময় রাখে তরতাজা। শরীরে জলশূন্যতা রোধ করে।
প্রশ্ন হল কী কী ফল খাবেন?
পীচ: উপাদেয় ব্রেকফাস্টে পেট ভরাতে চাইলে পীচ ফলটি দারুণ কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে। এই ফলে ক্যালোরির মাত্রা থাকে সামান্য। ১০০ গ্রাম পীচ ফলে থাকে ৩৯ ক্যালোরি। পীচ ফলে কোনও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে না। এই কারণেই গ্রীষ্মকালে পীচ ফল খাওয়া দারুণ উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
তরমুজ: ১০০ গ্রাম তরমুজে থাকে মাত্র ৩০ ক্যালোরি। আর জল থাকে ৯১ শতাংশ। এই কারণেই তরমুজ খেলে শরীরে জলের জোগান বজায় থাকে। এছাড়া এই ফলে থাকে অনেকখানি ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, কপার, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন এ। এমতাবস্থায় আপনি ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে তরমুজ যোগ করুন। আর শুধু তরমুজ নয়, মেলনজাতীয় যে কোনও ফলেই মিলবে একই গুণ।
বেরিজ: ১০০ গ্রাম বেরিতে থাকে ৩৩ ক্যালোরি এনার্জি। একইসঙ্গে বেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনলস যা দীর্ঘস্থায়ী অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে। আবার ফলটিতে উচ্চমাত্রায় জল থাকার কারণে খাদ্য হিসেবেও অত্যন্ত উপাদেয় ফলটি। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন, তাঁরা খাদ্যে অতি অবশ্যই ফলটি যোগ করুন।
আঙুর: প্রতি ১০০ গ্রাম আঙুরে ক্যালোরি থাকে ৪২ ক্যালোরি। আঙুরে কোনও ফ্যাট থাকে না। ভিটামিন ও এবং সি থাকে প্রচুর পরিমাণে। ব্রেকফাস্টের জন্য ফলটি অত্যন্ত উপাদেয়। এছাড়া ফলটিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান। তাই শরীর জলশূন্য হতে দেয় না। ডিহাইড্রেশন দূরে রাখে।
আরও পড়ুন: Morning rituals: ওজন কমাতে ও ত্বককে সুস্থ রাখতে সকালে উঠেই মেনে চলুন এই সহজ ৪ নিয়ম
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।