Asthma- Home Remedies: কোভিডের পর থেকে একটু ঠান্ডা লাগলেই শ্বাসকষ্টে ভোগেন? হাঁপানি দূর করুন এই ৭ উপায়ে
Lungs Health Tips: হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কিংবা এটা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া যায়। হাঁপানি রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা।
কোভিড পরিস্থিতির পর থেকে মানুষের মধ্যে একাধিক রোগের উপসর্গ বৃদ্ধি পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা। এখন বহু মানুষ ঠান্ডা লাগলেই বুক কফ জমা, শ্বাসকষ্টের শিকার হচ্ছেন। যদিও শ্বাসকষ্টের পিছনে বায়ুদূষণও দায়ী। যে হারে বাতাসে বিষাক্ত পদার্থ ঘুরে বেরাচ্ছে তাতে মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে হাঁপানির সমস্যা। প্রাপ্তবয়স্ক থেকে শিশু, কারওই রক্ষা নেই এই সমস্যা থেকে। হাঁপানির সমস্যা থাকলে শ্বাসনারী ধীরে ধীরে সরু হয়ে যায় এবং শ্লেষ্মায় ভরে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা যদি ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী রোগে পরিণত হয়, তখন এখান থেকেই হাঁপানি, বুকে কফ জমা এবং শ্বাসকষ্ট জনিত নানা রোগ দেখা দেয়।
হাঁপানি রোগীদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে ফুসফুসের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। সাধারণত দূষণের হাত থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কিংবা এটা সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যায় না। অনেক ক্ষেত্রে ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শও দেওয়া যায়। পাশাপাশি নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা হাঁপানি রোগীদের জন্য উপযোগী।
মধু: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম জলে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন। এতে গলা ব্যথা, বুকে জমে থাকা কফ দু হয়ে যাবে।
রসুন: রসুন থেঁতো করে এর রস বের করে নিন। গরম জলে ১৫ ফোঁটা রসুনের রস মিশিয়ে নিয়ে পান করুন। এছাড়া দুধের সঙ্গে পাঁচটা রসুনের কোয়া এবং এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর এই দুধ পান করুন। এতে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাগুলো সহজেই এড়ানো যাবে।
হলুদ: ১/২ চামচ হলুদ মধুর সঙ্গের মিশিয়ে খেলে সহজেই আপনি শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
নিম: যদি প্রতিদিন নিম তেলের কয়েক ফোঁটা খেতে পারেন, আপনার হাঁপানির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
মেথি দানা: এক গ্লাস জলে এক চামচ মেথির দানা ভিজিয়ে রাখুন। ওই জলে এক চামচ করে মধু ও আদা রস মিশিয়ে দিন। এই জলটা আপনাকে দিনে দু’বার করে পান করতে হবে।
তিলের তেল: বুকের উপর তিলের তেল মালিশ করতে পারেন। অল্প করে তিলের তেল গরম করে নেবেন। দিনে দু’বার করে এই টোটকা কাজে লাগালে আপনার বুকে জমে থাকা কফ দূর হয়ে যাবে। পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট কমবে।
দারুচিনি: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক চামচ মধুর সঙ্গে অর্ধেক চামচ দারুচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে খান। এতে ঘুম ভাল হবে। পাশাপাশি হাঁপানির কারণে যে নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়, সেটাও কমে যাবে।