ধমনীর দেওয়ালে রক্ত যখন অতিরিক্ত বেশি চাপ প্রয়োগ করে তখনই উচ্চ রক্তচাপের সৃষ্টি হয়। এটা খুব সাধারণ একটা রোগ যা ঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হলে কিন্তু আমাদের হৃদরোগের দিকে পরিচালিত করতে পারে। আপনার হার্ট যত বেশি রক্ত পাম্প করবে, যদি আপনার ধমনী সরু হয়, তবে আপনার রক্তচাপ তত বেশি হবে। উচ্চ রক্তচাপের আলাদা করে খুব কম লক্ষণই দেখা যায়। যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে এটি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
আমাদের শরীরে যে সকল কারণের জন্য উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে তাদের মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, অত্যধিক অ্যালকোহল পান, ধূমপান, একটি অলস জীবনধারা, প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া। এছাড়াও, পরিবারের কারও উচ্চ রক্তচাপ থেকে থাকলে সেক্ষেত্রেও এটি হতে পারে। আজকের দিনে কম বয়সীদের মধ্যেও উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা দেখা যায়।
রক্তচাপ কমাতে পারে এমন ব্যায়াম:
আইসোমেট্রিক হ্যান্ডগ্রিপ রক্তচাপের দ্রুত সামঞ্জস্য আনতে সাহায্য করতে পারে। যদি আপনার আলাদা করে ব্যায়াম করতে আলস্যবোধ হয় তবে এই হ্যান্ডগ্রিপে চাপ দিলেই কমবে রক্তচাপ। আপনার শরীরের সিস্টোলিক চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য এটাই যথেষ্ট ব্যায়াম বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। আট সপ্তাহের মধ্যে, এটি ৮ থেকে ১০ mmHg রক্তচাপ কমাতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করবেন কীভাবে?
উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল যারা এই অবস্থায় ভোগেন তারা সাধারণত এতে ভুগছেন বলে জানেনই না।
নিয়মিত রক্তচাপ চেকআপের জন্য যান: এই অবস্থা প্রতিরোধ করার জন্য আপনার রক্তচাপ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা বা রক্তচাপের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে কি না তা নজরে রাখা জরুরি। এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নুন খাওয়া কমিয়ে দিন: নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিলে তা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। আপনার খাবারে অতিরিক্ত নুন যোগ করা এড়িয়ে চলুন। এর পাশাপাশি কম সোডিয়াম ডায়েট করার চেষ্টা করুন।
স্বাস্থ্যকর শরীরের ওজন বজায় রাখুন: অতিরিক্ত ওজন অনেক রোগের জন্য একটি সাধারণ ঝুঁকির কারণ। স্বাভাবিক রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে শরীরের ওজন স্বাভাবিক থাকা জরুরি।
সক্রিয় এবং সুস্থ থাকুন: ব্যায়াম করে বা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করে নিজেকে সুস্থ রাখুন। একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে। ওয়ার্কআউটগুলি আপনার হৃদয়কেও সুস্থ রাখবে। আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তত ৩০ মিনিটের ওয়ার্কআউট সেশন অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
অ্যালকোহল এবং তৈলাক্ত খাবার থেকে দূরে থাকুন: অ্যালকোহল পান, চর্বিযুক্ত খাবার, ধূমপান, শারীরিক কার্যকলাপের অভাব এবং অতিরিক্ত শরীরের ওজন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ায়।
আপনার খাবারে আদা যোগ করুন: আদা একটি অলৌকিক মশলা। আদা পুষ্টিতে ভরপুর। এটা আমাদের শরীরে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং পেশী শিথিল করে। এটি আপনার চা, স্যুপ এবং তরকারিতে যোগ করে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন: Haldi Water: নিয়মিত হলুদ-জল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! এছাড়া রয়েছে হাজারো গুণ