Swine Flu: ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক যেন পিছু ছাড়ছে না! করোনা ও মাঙ্কিপক্সের পর এবার পালা সোয়াইন ফ্লুর
Swine Flu in India: ভারতের লুধিয়ানাতেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আরও ২জন আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার (Coronavirus) তাণ্ডব। তারমধ্যেই নতুন করে শুরু হয়েছে মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) দৌরাত্ম্য। নতুন করে জেগে উঠেছে আরও বেশ কিছু ভাইরাস। নতুন নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া উদ্বে ও আশঙ্কার মেঘ ঘনিয়েছে চিকিত্সকমহলে। সম্প্রতি, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। উদ্বেগ তৈরি হয়েছে মাঙ্কিপক্স ঘিরেও। সম্প্রতি লুধিয়ানায় সোয়াইন ফ্লু (Swine Flu) নিয়ে মাথা ঘামাতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিজেপি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, দেশে এবার হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি মাঙ্কিপক্স ঘিরেও চলছে জল্পনা। এমন উত্কন্ঠার মধ্যেই মাথা চাগাড় দিয়েছে সোয়াইন ফ্লুয়ের মত ভাইরাস। ভারতের লুধিয়ানাতেও কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সোয়াইন ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিজেপি নেতার মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আরও ২জন আক্রান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের ১৫দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই মরসুমে ভারতে সোয়াইন ফ্লুতে সামান্য বৃদ্ধির পরে, বিশেষজ্ঞরা মন্তব্য করেছেন যে বছরের এই সময়ে সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক নয়। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) অনুসারে, সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস সারা বছর ছড়িয়ে পড়তে পারে, বেশিরভাগ প্রাদুর্ভাব শরতের শেষের দিকে এবং শীতকালে ঘটে, অনেকটা মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাবের মতো। লুধিয়ানায় সোয়াইন ফ্লু-এর নতুনভাবে উত্থানের পরে, বিশেষজ্ঞরা জনসাধারণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। দেশে করোনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি ভাইরাসের আগমন ঘটেছে। সেই সব ভাইরাসও ক্রমশ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তবে সচেতনতা বৃদ্ধি করলে সেই আশঙ্কা অনেক কম হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড-১৯ এবং সোয়াইন ফ্লু একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, তাই মাস্ক ব্যবহার করা এবং অন্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়ানো-সহ কোভিড নির্দেশিকা অনুসরণ করলে, উভয় অসুস্থতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তায় কাজে লাগবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে প্রায় ৮৬জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৭ সালে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা দেখা গিয়েছিল। তবে জেলায় নতুন কোনও সোয়াইন ফ্লুয়ে আক্রান্তের সংখ্য়া দেখা যায়নি।
WHO-র মতে, বিশ্বের অনেক দেশেই এই সময়ে করোনা ছাড়াও আরও অনেক মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। করোনা ছাড়াও ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে অন্য রোগ। বিশেষ করে কেরলে। সেখানে টমেটো ফ্লু, ওয়েস্ট নাইল ফিভার, সোয়াইন ফ্লু এবং নরোভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।