Almond: অতিরিক্ত আমন্ড খাচ্ছেন না তো? লাভের চেয়ে ক্ষতি হতে পারে অনেক বেশি…
Health Care Tips: কিন্তু সব কিছুর ক্ষেত্রেই একটা কথা বারবার বলা হয়ে থাকে, কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। হয়তো সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে উল্টে ক্ষতি হচ্ছে!

আমন্ড। অনেকে আমন্ড বাদামও বলে থাকি। কেউ স্রেফ এমনিই নানা ডিশের সঙ্গে খেয়ে থাকেন। আবার যাঁরা ফিটনেস ট্রেনিং কিংবা ওয়ার্ক আউট করেন, আমন্ড তাঁদের কাছে খুবই পছন্দের। তাঁর কারণ, প্রাকৃতিক ভাবে প্রোটিনের জন্য দুর্দান্ত উপাদান আমন্ড। কিন্তু সব কিছুর ক্ষেত্রেই একটা কথা বারবার বলা হয়ে থাকে, কোনও কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। হয়তো সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আপনি খাচ্ছেন, কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে উল্টে ক্ষতি হচ্ছে!
কেন আমন্ডকে স্বাস্থ্যকর উপাদান বলা হয়? আমন্ডে প্রচুর পুষ্টি থাকে। প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে। যে কারণে ফিটনেসের জন্য তা খুবই উপকারী। সমস্ত উপাদানের ফলে শরীরে প্রচুর এনার্জি আসে। পুষ্টিবিদরা বলে থাকেন, দিনে ৩-৪টে আমন্ড জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া খুবই উপকারী। অনেকে অবশ্য না ভিজিয়েও খেতে পারেন। তাতেও এর পুষ্টিগুণ ঠিকই থাকে। দিনে ৪-৫টা আমন্ড স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে কী সমস্যা হতে পারে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত আমন্ড খাওয়ার ফলে নেতিবাচক প্রভাবও ফেলে। যে কারণে হজমশক্তিতে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন গ্যাস, পেট ফাঁপা, হজমে সমস্যা, ক্র্যাম্পও হতে পারে।
অতিরিক্ত আমন্ড খাওয়ার ফলে শরীরে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ, আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা শরীরে আয়রণ, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কের মতো অন্যান্য উপাদান শরীরে প্রভাবই ফেলতে পারে না। যাতে নানা সমস্যা হতে পারে।
প্রয়োজনের তুলনায় আমন্ড খাওয়ার ফলে গলায় সমস্যা হতে পারে। মুখ চুলকোতে পারে। এমনকি জিভ এবং ঠোঁটেও সমস্য়া হতে পারে। যাঁদের শুকনো ফলে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে অবশ্যই আমন্ড খাওয়া ভুলতে হবে।
আমন্ডে অক্সলেট থাকে। অতিরিক্ত আমন্ড খেলে শরীরে অক্সলেটের স্তর আরও বাড়বে। যা কিডনিতে পাথরের কারণও হতে পারে।
আমন্ডে প্রচুর পরিমাণে হেলথি ফ্যাট থাকে। কিন্তু আমন্ড প্রচুর খাওয়ার ফলে ক্যালোরিও বাড়তে পারে। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
