নতুন বছর পড়তে না পড়তেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ উর্দ্ধমুখী। সংক্রমণে রাশ টানতে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছে রাজ্য। পরিচিত অনেকেই করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আপনারও যদি কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে কিংবা কোভিড পজিটিভের সংস্পর্শে এলে আপনাকে কোয়ারান্টাইনে (home quarantine) থাকতে হবে। আপনি এখন হোম কোয়ারান্টাইন-এ আছেন? তবে তার প্রভাব আপনার মানসিক স্বাস্থ্যে পড়তে দেবেন না। বরং এই সময়ে কী কী করতে পারেন, তারই পরামর্শ দিচ্ছি আমরা।
পুরনো অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে পারেন:
অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের অভাবে আমাদের পুরনো অভ্যাস আর রাখা হয় না। কেউ হয়তো ছোটবেলায় আঁকতেন কেউ বা নাচ করতেন কেউ বা সঙ্গীত চর্চা করতেন। প্রত্যেকেই কিন্তু তাঁদের সেই পুরনো অভ্যাস আবার ফিরিয়ে আনতে পারেন। ১৪ দিন অনেকটাই সময়। প্রতিদিন অল্প অল্প করে অভ্যাস করবেন। দেখবেন আপনারও ভাল লাগবে। সময় কাটবে, কে বলতে পারে আপনি আবার পটু হয়ে উঠতে পারেন।
রান্না করতে পারেন:
এই কাজটা তখনই করবেন যদি আপনি বাড়িতে একা থাকেন। পরিবারের সঙ্গে থাকলে কখনওই রান্না করার প্রয়োজন নেই। তখন একটা ঘরে একা থাকাই ভাল। যদি বাড়িতে অন্য কেউ না থাকে তবে নতুন নতুন পদ রান্না করা যেতে পারে। কিংবা কেক বানাতেও পারেন আপনি। তার জন্য ইউটিউবের সাহায্য নিতে পারেন। কিংবা মা ও ঠাকুমার থেকে পরামর্শ নিয়েও নতুন রান্না করতে পারেন।
বাগান পরিচর্যা:
অনেক বিশেষজ্ঞই বলেন, সবুজের সঙ্গে সময় কাটালে মন ভাল থাকে। তাই আপনি এই সময়ে গাছের পরিচর্যা করতে পারেন। বাড়িতে বাগান থাকলে সেখান থেকে চারা করে নতুন গাছ বসাতে পারেন। কিংবা আপনার ঘর লাগোয়া কোনও বারান্দা থাকলে সেখানেও গাছ লাগাতে পারেন। খুবই ভাল দেখাবে। আপনার মনও ভাল থাকবে।
বই পড়া:
নতুন কোনও বই যদি আপনার বইয়ের তাকে থেকে যায়, তবে তাদের পড়ে ফেলার এই সময়। আপনি বইয়ের তাক থেকে বই নামান এবং পড়ে ফেলুন। বই পড়লে দেখবেন আপনার মনও ভাল থাকবে। জ্ঞান বাড়বে এবং সময় কেটে যাবে। কমিকস ট্রাই করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: পপএক্সো