Covid Omicron Update: কোভিড পজিটিভ, ডেল্টা নাকি ওমিক্রন? চিকিৎসা পদ্ধতিতে সামান্যই হেরফের! বলছেন বিশেষজ্ঞরা
RT-PCR পরীক্ষায় যদি পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাহলে ধরেই নিতে হবে যে আপনি কোভিডে আক্রান্ত। সেই মত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তার জন্য অন্য একটি পরীক্ষা রয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে বিশেষজ্ঞরাই তা করিয়ে নেন। এছাড়াও ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা জানতে যে বিশেষ পরীক্ষা করা হয় সেই ল্যাবের সংখ্যা খুবই কম
দেশে ক্রমেই বেড়ে চলেছে ওমিক্রন (Omicron update) আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড আক্রান্তের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আমাদের রাজ্য। মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এখনও পর্যন্ত ১,২৮১ জন আক্রান্তকে পাওয়া গিয়েছে। রাজস্থানে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৫। তবে আগামীদিনে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ওমিক্রন ছাড়াও রেকর্ড হারে বাড়ছে করোনা। বুধবার নতুন করে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
আক্রান্তের নিরিখে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে ছাড়িয়ে গিয়েছে ওমিক্রন। বিশ্ব জুড়েই প্রতিদিন অগুনতি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সাপ্তাহিক বুলেটিনে বলা হয়েছে ৩-৯ জানুয়ারির মধ্যে বিশ্বজুড়ে ১ কোটি ৫০ লক্ষ নতুন কোভিড কেস নথিভুক্ত হয়েছে। যা আগের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি। এখান থেকেই প্রমাণিত ওমিক্রন কত দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
তবে যিনি কোভিডে আক্রান্ত তাঁর পক্ষে কিন্তু বোঝা সম্ভব নয় যে তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত নাকি ডেল্টায়। তবে হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল কোভিড-১৯ সুপারমডেল কমিটির প্রধান ডাঃ এম বিদ্যাসাগরের মতে, ‘শুধুমাত্র মহামারী বিশেষজ্ঞদের জানলেই চলবে যে ব্যক্তিটি কোন স্ট্রেনে আক্রান্ত। আক্রান্ত ব্যক্তির না জানলেও কিন্তু চলে। ডেল্টা বা এমিক্রন কোনটায় তিনি আক্রান্ত তার থেকেও আগে জানা দরকার কী সমস্যা রয়েছে তাঁর। চিকিৎসা পদ্ধতিতে কিন্তু কোনও হেরফের নেই। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন অনেক তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে ওষুধে ফারাক খুবই কম। কিন্তু গবেষকদের জানা প্রয়োজন কোন ভ্যারিয়েন্টে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন’- নিউজ ৯-কে জানান চিকিৎসক বিদ্যাসাগর।
যেহেতু সংক্রমণ খুব দ্রুত গতিতে বাড়ছে তাই অনেকেই মনে করছেন এর নেপথ্যে রয়েছে ওমিক্রন। কিন্তু সঠিক তথ্য কারোর হাতে নেই। হতেই পারে ডেল্টাতেই হয়ত আক্রান্ত হয়েছেন। ডেল্টা কিন্তু এখনও সম্পূর্ণ ভাবে বিদায় নেয়নি। যাঁদের RT-PCR রিপোর্ট পজিটিভ তাঁরা কিন্তু সকলেই কোভিডে আক্রান্ত। এবার তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা তার জন্য এস-জিন-ড্রপ পরীক্ষা করা হয়। এই বিশেষ ধরনের আরটি-পিসিআর সর্বত্র হয় না। আমাদের এখানে পর্যাপ্ত ল্যাবও নেই। ফলে এটা বলা কঠিন যে ওমিক্রনেই তিনি আক্রান্ত কিনা। কিন্তু যেহেতু একসঙ্গে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই রোগ-লক্ষণ প্রায় একই রকম তাই জনস্বার্থে ধরে নেওয়া হচ্ছে যে সকলেই ওমিক্রনে আক্রান্ত। ডেল্টা আর ওমিক্রনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোনও ফারাক নেই। যাঁদের আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা রয়েছে কিংবা কোনও সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম।
যদি আক্রান্ত ব্যক্তি তিন থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন তাহলে কিন্তু তিনি এমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও যদি গলা ব্যথা, শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি, পেশি ব্যথা, মাথা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়ার সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু তা ওমিক্রনের লক্ষণ। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় নাক বন্ধ থাকছে, ওষুধ দিলেও সেক্ষেত্রে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে। এমন সমস্যা কিন্তু ডেল্টার সময় দেখা যায়নি। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের প্রত্যেকেরই প্রচুর জ্বর, সর্দি, শুকনো কাশি, গলা চুলকোনো এই সব সমস্যা ছিল। সঙ্গে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যাচ্ছিল। তবে যাঁদের এই সব সমস্যা নেই ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় তাঁদের ওমিক্রন আক্রান্ত হিসেবেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Child omicron symptoms: বছর দু’য়ের শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না কোভিড থেকে, কেন হচ্ছে? জানুন