AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child omicron symptoms: বছর দু’য়ের শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না কোভিড থেকে, কেন হচ্ছে? জানুন

প্রচুর শিশুও আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়। দুদিনের বেশি জ্বর, সর্দি-কাশি, খেতে না চাওয়া, চোখ মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলে কিংবা ডায়ারিয়ার সমস্যা হলে অতি দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন

Child omicron symptoms: বছর দু'য়ের শিশুও রক্ষা পাচ্ছে না কোভিড থেকে, কেন হচ্ছে? জানুন
বাচ্চাদের সাবধানে রাখুন
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2022 | 6:21 PM
Share

ওমিক্রনের সংক্রমণ যে ভাবে ছড়াচ্ছে তাতে ছাড় পাচ্ছে না কেউই। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। ছাড় পাচ্ছে না সদ্যোজাতরাও। এমনকী আক্রান্ত হচ্ছে ১১ মাসের শিশুও! দু’বছরের কম বয়সীদের আক্রান্তের খবরে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকেরাও। ডেল্টার থেকেও ওমিক্রন দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। যে কারণে চিকিৎসকেরাও ভীত। সম্প্রতি আমাদের দেশে শুরু হয়েছে বাচ্চাদেরও টিকাকরণ। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের (AAP) তরফে একটি তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে কোভিড আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ১৭.৪% হল শিশু। এখনও পর্যন্ত সেখানে এক লক্ষ শিশুর মধ্যে প্রায় ১১, ২৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত।

সেই সংখ্যা কিন্তু আরও খানিকটা বেড়েছে। ৬ জানুয়ারি নতুন করে আরও অনেক শিশুই আক্রান্ত হয়েছে। এখন কোভিজ আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষ ৮০ হাজার। আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের করফে জানানো হয়েছে এমনটাই। ডিসেম্বরের শেষে আক্রান্তের সংখ্যা যা ছিল এখন প্রায় তার তিনগুণ।

২০২১ সালের জুন মাসে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানেই বলা হয়েছিল, শিশুদের মধ্যে তেমন রোগ জটিলতা নেই। যে কারণে কোভিড হলেও শিশুদের গুরুতর হওয়ার অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কিন্তু কম। এখনও পর্যন্ত যে সব শিশু কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশকেই হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করাতে হয়েছিল।

ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের রোগ সংক্রমণের তীব্রতা বেশি, কিন্তু রোগ লক্ষণ মৃদুই। শিশুরা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে এরকম সংখ্যা কিন্তু খুবই কম। তবে যারা কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই কিন্তু নানা রকম শারীরিক জটিলতা ছিল। মাল্টি-ইনফ্লেমটরি সিনড্রোমে ভোগার কারণেই কিন্তু বেশিরভাগ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ইউনিসেফ বাচ্চাদের কোভিড নিয়ে কিন্তু একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। আর সেই গাইডলাইন অনুসারে, শিশুদের যদি তিনদিনের বেশি জ্বর থাকে, খাওয়া-দাওয়ায় রুচি না থাকে, ক্লান্তি, নাকবন্ধ, সর্দিএবং শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়, এবং অক্সিজেনের স্যাচুরেশন যদি ৯৫ শতাংশের নীচে নেমে যায় তাহলে কিন্তু ততক্ষনাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

এছাড়াও যদি বুকে কফ বসে, সাঁই সাঁই আওয়াজ হয়, শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়, মুখ শুকিয়ে যায় এবং বাথরুম না হয় অনেকটা সময় ধরে তাহলে কিন্তু বিষয়টি মোটেই হালকা ভাবে নেবেন না। অনেক বাচ্চার ক্ষেত্রে কিন্তু ডায়ারিয়া, বমি, পেটে ব্যথা এসবও কিন্তু থাকে। তবে ওমিক্রন শিশুদের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। তাই আগেভাগেই সচেতন হন। বাচ্চাকে সাবধানে রাখুন।

বাবা- মায়েদের যা কিছু করণীয়

এই সময় মা-বাবার উচিত যে সন্তানের আরও বেশি যত্ন নেওয়া। মানসিক এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত উভয় দিক থেকেই খেয়াল রাখুন। এছাড়াও বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাস যাতে ঠিক থাকে সেদিকে নজর রাখুন। বাচ্চাকে ভেপার নেওয়ানো শেখাতে পারেন। বাচ্চার শ্বাসযন্ত্র যাতে পরিষ্কার থাকে সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে। বাত্চাকে সব সময় মাস্ক পরিয়ে রাখবেন। হাত যাতে বারে বারে ধোয়ে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। মাস্ক যাতে পরিষ্কার থাকে সেদিকেও কিন্তু নজর দিন। শিশুর পুষ্টির দিকেও নজর দিন। প্রচুর করে জল খাওয়ান, ফল খাওয়ান। বাড়ির হালকা রান্না দিন। বাইরের খাবার কিন্তু একেবারেই নয়। সর্বতো ভাবে শিশুর মধ্যে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন সি, জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি কিন্তু দিতে ভুলবেন না।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: Omicron diet tips: একমাত্র হাই প্রোটিন ডায়েটই পারে ডেল্টা আর ওমিক্রনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি করতে, পরামর্শ পুষ্টিবিদদের