Post-breakfast Fatigue: ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পরই চোখের পাতা ঢুলুঢুলু? কোন টোটকায় এড়াবেন রোজকার এই সমস্যা
Health Tips: অনেক সময় ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পরও চোখের পাতায় ঘুম নেমে আসে। ব্রেকফাস্ট পেট ভরানোর পাশাপাশি কাজে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা সবসময় সকালের জলখাবারের উপর বেশি জোর দেন। কিন্তু ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়ার পরও কাজ করার এনার্জি আসে না, অথচ ঘুম চলে আসে।

ঘুম থেকে ওঠার পরও চোখ জুড়িয়ে আসে ঘুমে। এই ধরনের শারীরিক ক্লান্তির পিছনে মূলত পুষ্টির অভাবই থাকে। কিন্তু অনেক সময় ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পরও চোখের পাতায় ঘুম নেমে আসে। ব্রেকফাস্ট পেট ভরানোর পাশাপাশি কাজে এনার্জি জোগাতে সাহায্য করে। তাই পুষ্টিবিদরা সবসময় সকালের জলখাবারের উপর বেশি জোর দেন। কিন্তু ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়ার পরও কাজ করার এনার্জি আসে না, অথচ ঘুম চলে আসে। এমনটা কেন হয় জানেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
রক্তে শর্করার মাত্রা
দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকার পর ব্রেকফাস্ট খেলে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর প্রভাব পড়ে। বেশিরভাগ মানুষ সকালের জলখাবারে সিরিয়াল, পাউরুটি, কর্নফ্লেক্স খান। এতে কার্বোহাইড্রেটেড ও সুগারের মাত্রা বেশি থাকে। এগুলো রক্তনালিতে প্রবেশ করে এবং গ্লুকোজে ভেঙে যায়। তাই ব্রেকফাস্ট খাওয়ার পরই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই সুগার লেভেল বেড়ে যাওয়াতেই শরীরে ক্লান্তি তৈরি হয়। এতেই ঘুম পায়। এই সমস্যা এড়াতে ব্রেকফাস্টে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।
এই খবরটিও পড়ুন
খাবারের পরিমাণ
ব্রেকফাস্টে কী খাচ্ছেন যতটা গুরুত্বপূর্ণ, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন সেটাও জরুরি। অতিরিক্ত পরিমাণে খাবার খাওয়া কখনওই স্বাস্থ্যকর নয়। এমনকী স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও তা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়। ব্যালেন্স ডায়েট ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরিমাণে বুঝে সকালের জলখাবার খান। এতে আপনার ব্রেকফাস্টের পর ঘুম পাবে না।
সঠিক খাবার বেছে নিন
সকালের জলখাবার খাওয়ার পর ঘুম যদি এড়াতে চান, তাহলে সঠিক খাবার বেছে নিন। এমন কোনও খাবার খাবেন না, যার মধ্যে চিনির পরিমাণ বেশি এবং পুষ্টির পরিমাণ কম। খাবারে যদি পুষ্টির পরিমাণ কম থাকে, তাহলে কাজ করার এনার্জি পাবেন না। তার উপর তৈরি হবে ক্লান্তি। ব্রেকফাস্টে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। প্রোটিন ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আপনাকে এনার্জেটিক করে তোলে।
হাইড্রেটেড থাকুন
ঘুমের মধ্যে বারবার উঠে জল খাওয়া সম্ভব নয়। তাই দীর্ঘ ৭-৮ ঘণ্টার ব্যবধান তৈরি হয়ে যায়। এতে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর সকালে ঘুম থেকে উঠেও পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা হয় না। এতেই দেহে ক্লান্তি তৈরি হয়। এক্ষেত্রে আপনি ব্রেকফাস্টের সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে শরীর হাইড্রেটেড থাকবে এবং ঘুম পাবে না।