শ্বাসকষ্টের বড় কারণ ঘরে থাকা এই একটি পোকা!
যাঁরা আগে থেকেই অ্যাজমা বা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, শিশু ও বয়স্করা, যাঁরা বদ্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন, যাঁদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাঁদের ভয় বেশি।

আরশোলা শুধু ঘৃণার কারণ নয়, আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত ক্ষতিকারক। বিশেষত যাঁরা শ্বাসজনিত রোগে ভুগছেন, তাঁদের জন্য আরশোলা হতে পারে শ্বাসকষ্টের অন্যতম উৎস। আরশোলার উপস্থিতি অনেক সময় অ্যালার্জি বা হাঁপানির ট্রিগার হিসেবে কাজ করতে পারে। কীভাবে জানেন?
১। আরশোলার শরীর, লালা, মল এবং তাদের খোলস বা ডিমের আবরণে এমন কিছু প্রোটিনজাত উপাদান থাকে, যেগুলো অ্যালার্জেন হিসেবে কাজ করে। এই অ্যালার্জেন বাতাসে মিশে ঘরের ভিতরে ছড়িয়ে পড়ে। এই ধুলো বা অণু-অনুপস্থিত অ্যালার্জেন শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করে, তখন তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উত্তেজিত করে এবং শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি সৃষ্টি করতে পারে।
২। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ঘরে আরশোলার সংখ্যা বেশি, সেখানে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হাঁপানির প্রকোপ বেশি। নিউইয়র্ক, হিউস্টনের মতো শহরে বহু গবেষণা এই সম্পর্ক নিশ্চিত করেছে যে আরশোলার অ্যালার্জেন শিশুদের ফুসফুসে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এবং হাঁপানির লক্ষণগুলিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
৩। আরশোলা এমন স্থান পছন্দ করে যেখানে খাবার থাকে, যেমন রান্নাঘর, ডাস্টবিন বা অন্ধকার স্যাঁতসেঁতে কোণ। এরা জীবাণু ও অ্যালার্জেন ছড়ায়। এর ফলে ঘরের ধুলো আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে। ধুলোর সঙ্গে মিশে থাকা আরশোলার মল বা দেহের কণাগুলি সহজেই ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হয়।
কাদের বেশি ঝুঁকি?
যাঁরা আগে থেকেই অ্যাজমা বা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, শিশু ও বয়স্করা, যাঁরা বদ্ধ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকেন, যাঁদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল তাঁদের ভয় বেশি।
কী করবেন?
বাড়ি সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে, আরশোলার গর্ত বা লুকিয়ে থাকার জায়গাগুলি বন্ধ করতে হবে, খাবার ঢেকে রাখতে হবে, অ্যালার্জি বা হাঁপানির সমস্যা থাকলে নিয়মিত ডাক্তার দেখাতে হবে।
