Coronavirus: এই দুই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধই নতুন বছরে কোভিডের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ে সক্ষম, WHO

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Dec 30, 2021 | 1:36 PM

ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থার হাত ধরেই করোনা প্রতিরোধের ওষুধ এসেছে বাজারে। আর তাতে অনুমতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। এই ওষুধ ব্যবহারে আগামী দিনে কমবে কোভিডে মৃত্যুঝুঁকি, মত বিশেষজ্ঞদের

Coronavirus: এই দুই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধই নতুন বছরে কোভিডের বিরুদ্ধে জোরদার লড়াইয়ে সক্ষম, WHO
নতুন বছরে এই কোভিড পিলই হয়ে উঠবে মানুষের ভরসা

Follow Us

ওমিক্রন আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ব। করোনা আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকেই ওষুধ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি নতুন এই ভ্যারিয়েন্টকে কী ভাবে আটকানো যায় সেই নিয়েই প্রচুর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। কোভিড ভ্যাকসিনের ফলে শরীরে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কিন্তু বর্তমানে ওমিক্রনের আক্রমণে কমেছে সেই রোগ প্রতিরোঝধ ক্ষমতা। আর যে কারণে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিয়ে এত তোড়জোড় চলছে বিশ্বজুড়ে। পশ্চিমের দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিনেশন। জানুয়ারি থেকে টিকাকরণ শুরু হবে আমাদের দেশেও। তবে কোভিডের টিকা ছাড়াও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের জন্য গবেষণা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। এবার ইউরোপের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা হ্যান্স ক্লুজের হাত ধরেই ওষুধ এল বাজারে। নির্মাতাকারীদের মতে, এই ওষুধ কিন্তু কোভিড-মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে সক্ষম।

এর আগে কোভিডের ওষুধ হিসাবে ফাইজারের প্যাক্সলোভিড এবং মার্কের মলনুপিরাভির ওষুধ দুটি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এই ওষুধের ব্যবহার কমাতে পারে হাসপাতালে ভর্তির মত ঝুঁকি। সেই সঙ্গে শারীরিক জটিলতা অনেকটা কমবে বলে দাবি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার।

ক্লুজ আরও জানিয়েছেন, এই নতুন অ্যান্টি ভাইরাল ওষুধের বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে নতুন বছরেরই। যাঁরা গুরুতর কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন কিংবা যাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাঁদেরও এই ওষুধটি মৃত্যুর মুফ থেকে ফিরিয়ে আনবে বলেই কিন্তু তাদের বিশ্বাস। সেই সঙ্গে কোভিডে মৃত্যু কিংবা হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি কমবে ৮৯ শতাংশ। পরবর্তীতে যে ভ্যাকসিন আসবে তা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে আরও বেশি কার্যকরী হবে একথা জানিয়েছেন তিনি। যে কোনও ভ্যারিয়েন্টই বছর বছর অভিযোজিত হয়। ফলে ভাইরাস দমনে শরীরে নতুন করে অ্যান্টিবডি গঠনের জন্য বুস্টার ডোজেরও প্রয়োজন হয়।

ফাইজারের  তরফে বেশ কয়েকটি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। তাতেও দেখা গিয়েছে প্যাক্সলোভিড ওমিক্রনের বিরুদ্ধেও ভাল কাজ করছে। কমেছে শারীরিক ঝুঁকি। যত বেশি  এবং যত দ্রুত এই সব অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্যি কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। গত এক মাস ধরে প্রায় ১২০০ জনের উপর ফাইজারের এই নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। সেখানেই Paxlovid দেওয়া হয় আক্রান্তদের। তাদের মধ্যে ১০০০ জনের শরীরে তা খুব ভাল কাজ করেছে। এমনকী সেই তালিকায় ১২ জন রোগী এমন ছিলেন যাঁদের শারীরিক অবস্থা ভীষণ রকম আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু ওষুধের ট্রায়ালে সেই ১২ জনও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। টানা ৫ দিন ধরে আক্রান্তদের দেওয়া হয় প্যাক্সলোভিড। সেই সঙ্গে প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর পরীক্ষা চালানো হয় তাঁদের শরীরে।

কোভিডের এই নতুন অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের উপর এবার  সম্মতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। অচিরেই যে তা বিশ্ববাসীর ভরসা হয়ে উঠবে তা হলফ করে বলাই যায়।

আরও পড়ুন:  Paxlovid: কোভিডের চিকিৎসা এবার বাড়িতেই! ফাইজার অনুমোদিত প্যাক্সলোভিড-ই হয়ে উঠেছে আমেরিকাবাসীর ভরসা

Next Article