AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paxlovid: কোভিডের চিকিৎসা এবার বাড়িতেই! ফাইজার অনুমোদিত প্যাক্সলোভিড-ই হয়ে উঠেছে আমেরিকাবাসীর ভরসা

Pfizer: কোভিডের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে প্যাক্সলোভিড দ্রুত কাজ করছে। যদিও এর সরবরাহ অত্যন্ত সীমিত। তবে এই ওষুধ খাওয়ার আগে একটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা

Paxlovid: কোভিডের চিকিৎসা এবার বাড়িতেই! ফাইজার অনুমোদিত প্যাক্সলোভিড-ই হয়ে উঠেছে আমেরিকাবাসীর ভরসা
কোভিডের জন্য প্রথম ওষুধ পেল আমেরিকাবাসী
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2021 | 3:58 PM
Share

ক্রমশই বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের তুলনায় পশ্চিমের দেশগুলোতে তা ছড়াচ্ছে অনেক বেশি। ২৪ নভেম্বর ওমিক্রন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে প্রথম রিপোর্ট পেশ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২৬ নভেম্বর WHO এই ভাইরাসকে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেব ঘোষণা করে। এরপরই সুনামির মতো বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এই ভাইরাস।

ওমিক্রনের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত হালকা। গুরুতর শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের সমস্যা কিংবা শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার মত অভিযোগ নেই। তবে ওমিক্রন কমিয়ে দিচ্ছে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা। যে কারণে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আমেরিকার বেশ কিছু জায়গায় অবশ্য বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রভাবে প্রচুর মানুষ যেমন আক্রান্ত হয়েছিলেন তেমনই অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সঙ্গে অল্প দিনের মধ্যেই দেখা দিচ্ছিল শারীরিক অসুবিধা। যে কারণে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।

তবে এবার কোভিডের চিকিৎসা হবে বাড়িতে রেখেই। কোভিড প্রতিরোধে ফাইজারের (Pfizer) তৈরি অ্যান্টিভাইরাল বড়ি অনুমোদন পেল আমেরিকায়। ফাইজারের টিকা যে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সক্ষম তা আগেই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু ফাইজারের তৈরি এই বড়ি কোভিড মৃত্যু প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর। হাসপাতালে ভর্তি বেশ কিছু মুমূর্ষ রোগীকেও দেওয়া হয়েছিল কোভিডের এই নয়া ওষুধ। এতে তাঁরাও সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

গত এক মাস ধরে প্রায় ১২০০ জনের উপর ফাইজারের এই নতুন ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। সেখানেই Paxlovid দেওয়া হয় আক্রান্তদের। তাদের মধ্যে ১০০০ জনের শরীরে তা খুব ভাল কাজ করেছে। এমনকী সেই তালিকায় ১২ জন রোগী এমন ছিলেন যাঁদের শারীরিক অবস্থা ভীষণ রকম আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু ওষুধের ট্রায়ালে সেই ১২ জনও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। টানা ৫ দিন ধরে আক্রান্তদের দেওয়া হয় প্যাক্সলোভিড। সেই সঙ্গে প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর পরীক্ষা চালানো হয় তাঁদের শরীরে।

সেখান থেকে আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়ার পরই এই ওষুধ বিক্রিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। কোভিডের আক্রমণে যাতে জীবন সংশয় না হয় এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, তার জন্যই এমন পদক্ষেপ ফাইজারের। এই ওষুধ ব্যবহারের পর থেকে আমেরিকায় কোভিড সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও কমেছে বেশ খানিকটা। বিশেষত বয়স্ক এবং ১২ বছরের নীচে বাচ্চাদের এই ওষুধ ব্যবহারে ভাল ফল মিলেছে।

ফাইজারের (Pfizer) তরফে দ্বিতীয় একটি সমীক্ষাও করা হয়। সেখানে দেখা যায় যাঁরা ফাইজারের দুটো ডোজ নিয়েছেন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে প্যাক্সিলোভিড খেয়েছেন তাঁদের মধ্যে কোনও রকম রোগ-জটিলতা তৈরি হয়নি। এমনকী যাঁদের অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা রয়েছে তাঁরাও কোভিড আক্রান্ত হলে ঝুঁকিপূর্ণ কোনও অবস্থার সম্মুখীন হননি।

ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে তাঁরা ওষুধটির প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করছেন। অনুমোদন মিললে বিশ্বব্যাপী এই ওষুধ ছড়িয়ে দিতে চান তাঁরা।

আরও পড়ুন: Delmicron: ওমিক্রনের দোসর যখন ডেলমিক্রন! জানুন এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও রোগ লক্ষণ