AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Healthy Heart: দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে হার্টের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন! কোন কোন অভ্যাস গড়ে তুলবেন? জানুন…

নিজের মধ্যে সুস্থ অভ্যাস গড়ে তুলুন। সময়ে খাওয়া, ঘুম এবং শরীরচর্চা হলে কিন্তু অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। আর হার্ট সুস্থ রাখতে গেলে নিজেকেও থাকতে হবে অ্যাক্টিভ

Healthy Heart: দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে হার্টের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন! কোন কোন অভ্যাস গড়ে তুলবেন? জানুন...
হার্ট ভাল রাখতে যে সব নিয়ম মেনে চলবেন
| Edited By: | Updated on: Jan 28, 2022 | 8:47 PM
Share

হার্ট ( Healthy Heart) সুস্থ থাকা মানেই কিন্তু শরীর সুস্থ থাকা। কারণ শরীরে মূল কাণ্ডারি হল এই হার্ট। তাই সবার আগে হার্টের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে গেলে হার্ট ভাল রাখতেই হবে। আজকাল খুব কম বয়স থেকেই অনেকে হৃদরোগের শিকার। হার্টের নানা সমস্যায় ভুগছেন। ২৫ বছর বয়সেই স্ট্রোক, হার্ট অ্যার্টাকের ( Heart Attack) সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য দায়ী কিন্তু আমাদের রোজকার জীবনযাত্রা ( Lifestyle)। প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় এত মানসিক চাপ, ঘুম কম হওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এবং অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার জন্য কিন্তু বাড়ছে হৃদরোগ। যে কারণে হারটের রোগের এখন আর কোনও বয়স হয় না। প্রথম থেকেই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলতে হবে।

গত দু বছরে কোভিড আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে যে সুস্থ থাকতে হলে হার্টের যত্ন নিতে হবে। হার্টের কোনও সমযা থাকে এমনিই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আজকের দিনে যা খুবই সমস্যার। কোভিডের সঙ্গে মোকাবিলা করতে গেলে হার্ট সুস্থ রাখতেই হবে। বিশ্বে প্রতি বছর যত মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তার মধ্যে সবথেকে বেশি হল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু। প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অন্তত ৯০ লক্ষ মানুষ মারা যান হৃদরোগ ঘটিত কারণে। ৩০ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে কিন্তু হৃদরোগে মৃত্যুর সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। আর এই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুতে প্রথমেই রয়েছে চিন। তারপর ভারত, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

আর তাই প্রতিদিন যে সব অভ্যাস আপনাকে মেনে চলতেই হবে-

মন ঠিক রাখুন- মন ভাল রাখতেই হবে। মনের উপর যত বেশি চাপ পড়বে ততই কিন্তু অন্যান্য সব সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে। এমনকী বাড়বে রক্তচাপও। রকত্তচটাপ বাড়লেই আসবে হার্টের সমস্যা। তাই মন ভাল রাখুন। নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা করুন। অন্তত ১৫ মিনিট প্রাণায়ম সকলের জন্য খুবই জরুরি। শরীর যথাযথ পুষ্টি পাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখুন। যদি স্নায়ুর উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

নুন কম খান– খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিন। সেই সঙ্গে এড়িয়ে চলুন কাঁচা নুন। প্রসেসড ফুড, চিপস এসব যত কম খেতে পারবেন ততই কিন্তু ভাল। নুন খেলে যেমন রক্তচাপ বাড়ে তেমনই কিডনির ক্ষতি হয়। তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন। বাইরের বা প্যাকেটবন্দি যে কোনও মুখরোচক খাবারেই কিন্তু নুন বেশি থাকে। এ বিষয়ে নিজেকেই সতর্ক হতে হবে।

ঘুম- নিয়মিত ৭-৮ ঘন্টার ঘুম কিন্তু খুবই জরুরি। কাজের চাপ, জীবনের ব্যস্ততা  সবই থাকবে। সকলেই প্রতিদিন ৭ ঘন্টা ঘুমনোর মত সময় পান না। কিন্তু এই অভ্যেস আপনাকেই করে নিতে হবে। সেই ভাবে গুছিয়ে কাজ করুন, যাতে ঘুমনোর সময় থাকে। ঘুম ভাল হলে স্নায়ুর চাপ কমে

স্বাস্থ্যকর খাবার খান- প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার, মাছ, ডিম, দুধ, সবজি এবং মরশুমি ফল অবশ্যি রাখবেন। তেল, মশলার ব্যবহার একেবারেই কম করুন। নুন, চিনি বাদ দিয়ে দিতে পারলেই সবথেকে ভাল। চিনি, ময়দা একেবারে বাদ দিয়ে দিলে ওজন কমবে খুব তাড়াতাড়ি।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: NeoCov Covid Variant: আরও মারাত্মক কোভিডের নয়া ভ্যারিয়েন্ট NeoCov! সন্ধান দিল উহানের গবেষণা…