
ঘুমের ওষুধ ছাড়া অনেকেরই একদম ঘুম আসতে চায় না। আর শরীর সুস্থ রাখতে ঘুম ভীষণ রকম দরকারি।

দিনের মধ্যে ৮-৯ ঘন্টা যদি শান্তিতে ঘুমোতে পারেন তবেই শরীর থাকবে চনমনে। তবে আজকাল সকলেরই যা কাজের চাপ সেখানে এতক্ষণ ঘুমের সময় পাওয়া যায় না।

বিজ্ঞান যত উন্নত হয়েছে ততই মানুষের জীবনে চাপ বেড়েছে। কাজের চাপ এত বেশি যে সেখানে পর্যাপ্ত ঘুমের সুযোগ থাকে না। ঘুম ঠিক মত না হলেই নানা সমস্যা জাঁকিয়ে বসে।

রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, রক্তশর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া, হৃদরোগ সবেরই কারণ হল ঘুম। এছাড়াও ঘুম ঠিকমতো না হলে সারাদিন মেজাজও থাকে খিটখিটে।

একেবারে চরম পর্যায়ে না গেলে চিকিৎসকেরা ঘুমের ওষুধ দেন না। কারণ এই ওষুধ খাওয়া মোটেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। ঘুমের ওষুধে পরবর্তীতে আসক্তি তৈরি হয়ে যায়। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তবেই ঘুমের ওষুধ দেন চিকিৎসকেরা।

যাঁদের ইনসমনিয়া থাকে, হাইপার টেনশন থাকে একমাত্র তাঁদেরই ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। চিকিৎসকের দেওয়া নির্ধারিত ডোজেই ওষুধ খেতে বলা হয়। গর্ভবতী মহিলা কিংবা লিভারের রোগীদের এই ওষুধ একেবারেই খেতে দেওয়া হয় না।