ওজন কমানোর জন্য ব্রেকফাস্ট না করাটা বোকামি। ৯-১০ ঘণ্টা পর ব্রেকফাস্ট করেন। সেটাও যদি না খান, তাহলে কিন্তু ওজন কমার বদলে পেট ফুলে যেতে পারে। ব্রেকফাস্ট না করলে বিপাক ক্রিয়ার উপর প্রভাব পড়ে। ওজন কমাতে গেলে ব্রেকফাস্ট স্কিপ করার কিংবা অক্ষরে-অক্ষরে ডায়েট মেনে খাবার খাওয়ার দরকার নেই। সাধারণত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে এবং পুষ্টিকর ও বাড়ির তৈরি খাবার খেয়েই ওজন কমানো যায়।
পুজোর আগে অনেকেই টার্গেট নিয়েছে ওজন কমানোর। পুজো আসতে মাস তিনেকের বেশি সময় আছে। আর এই সময়ের মধ্যেই কেউ ৫ কেজি আবার কেউ ১০ কেজি ওজন কমাতে চান। সেই মতো জিমে ভর্তি হওয়ার প্ল্যান করেছেন। তবে, ডায়েটের জন্য ডায়েটেশিয়ানের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ৫টি টিপস মেনে খাবার খেলেই মেদ গলবে।
১) বাইরের খাবার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিন। মুখরোচক খাবার খাওয়া ইচ্ছে হলে সেটা বাড়িতেই বানিয়ে খান। বাড়ির তৈরি খাবার সবসময় বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। যদি বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে হয়, সেটাও বাড়িয়ে বানিয়ে খান।
২) সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। যত বেশি জল খাবেন শরীরে জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এতে খিদে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং মেটাবলিজম ভাল থাকবে। এমনকি রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৩) খাবার পাতে ওটস, আটা, বার্লি, রাগি, ডালিয়া, ব্রাউন রাইস, বিভিন্ন ডালের মতো দানাশস্য, মরশুমি ফল ও শাকসবজি রাখুন। তার সঙ্গে মাছ, মাংস, ডিমও রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়। আর রাখুন আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো বাদাম ও বীজ।
৪) সকালে খালি পেটে কিশমিশ ভেজানো জল, মেথি ভেজানো জল কিংবা চিয়া সিড ভেজানো জল খান। যে কোনও ধরনের ডিটক্স ওয়াটার সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিষ্কার হয়ে যাবে। শরীর চাঙ্গা থাকবে। খালি পেটে চা-কফি এড়িয়ে চলুন। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়বে।
৫) সারাদিনের খাবারকে কয়েকটি ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার খাবেন না। দিনে চারবেলা খাবার খান। দুটো ভারী খাবারের মাঝে ৩-৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখুন। এই কয়েকটি ডায়েট টিপস মানলেই ওজন কমাতে পারবেন খুব সহজে।