Weight Gain: পুজোর আগে মেদ ঝরানোর জন্য ডায়েট শুরু করেছেন? এই ৫ পুষ্টিকর খাবার থেকে দূরে থাকুন
Healthy Foods: সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই ওজন নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু সব স্বাস্থ্যকর খাবার যে ওজন বাড়াবে না এমন নয়। এগুলো দেহে হয়তো পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে কিন্তু ওজনও বাড়িয়ে তোলে। এই ৫ খাবার খেলে কিন্তু ওজন বাড়তে পারে।
ওজনকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারলে খুব বিপদ। বাড়তি ওজন দেহে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা সমস্যা ডেকে আনে। আর ওজনকে বশে রাখতে গেলে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ভীষণ জরুরি। সাধারণত স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই ওজন নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে হয় না। কিন্তু সব স্বাস্থ্যকর খাবার যে ওজন বাড়াবে না এমন নয়। এগুলো দেহে হয়তো পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে কিন্তু ওজনও বাড়িয়ে তোলে। এই ৫ খাবার খেলে কিন্তু ওজন বাড়তে পারে।
বাদাম ও নাট বাটার
বাদামের মধ্যে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ফাইবার রয়েছে। এগুলো দেহে নানা উপকারিতা প্রদান করে। এমনকি হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে আমন্ড, আখরোট, চিনেবাদামের মতো বাদাম। কিন্তু বাদামের মধ্যে ১৫০-২০০ ক্যালোরি থাকে। তার উপর যদি বাদামের যদি মাখন খান, তখন আরও মুশকিল। পিনাট বাটার, আমন্ড বাটারের মতো খাবার কিন্তু ওজন বাড়ায়।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো সুপারফুড। এই খাবারে মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এছাড়া ফাইবার, পটাশিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন রয়েছে। একটা মাঝারি সাইজের অ্যাভোকাডোয় ২৪০ ক্যালোরি রয়েছে। আপনি যদি ঘন ঘন অ্যাভোকাডোর স্যালাদ, অ্যাভোকাডোর টোস্ট খান সেক্ষেত্রে ওজন বাড়তে পারে। তবে, অল্প পরিমাণে খেলে কোনও ভয় নেই।
গ্যানোলা
গ্যানোলার মধ্যে দানাশস্য, ওটস, বাদাম ও বীজ রয়েছে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আবার এতে ক্যালোরির পরিমাণও বেশি থাকে। চিনিও থাকে। নিয়মিত ব্রেকফাস্টে গ্যানোলা খেলে ওজন বাড়ে এবং তার সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রাও বাড়বে। তবে, মাঝেমধ্যে গ্যানোলা খেতে পারেন।
স্মুদি ও জুস
তাজা ফল ও সবজির জুস পুষ্টিতে ভরপুর হয়। কিন্তু আপনি যদি স্মুদি বানানোর সময় কলা, পিনাট বাটার, দই, মধুর মতো উপাদান ব্যবহার করেন, ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যায়। এই ধরনের পানীয় রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং ওজনও বাড়ে। চেষ্টা করুন সবুজ সবজি ও কম শর্করাযুক্ত ফল দিয়ে স্মুদি বানানোর।
শুকনো ফল
ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে কিশমিশ, খেজুর ও অ্যাপ্রিকট স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। স্ন্যাকস হিসেবে এগুলো খাওয়াই যায়। কিন্তু পরিমাণ বুঝে খাবেন। এক কাপ কিশমিশে ৪০০ ক্যালোরি থাকে। অত্যধিক পরিমাণে এসব ড্রাই ফ্রুটস খেলে দেহের ওজন বাড়তে থাকে।