মহিলাদের মধ্যে খুব কমন সমস্যা হল অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা। দেহে আয়রনের অভাব থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর দেহে আয়রনের অভাব সঠিক খাওয়া-দাওয়ার অভাবেই দেখা দেয়। কিন্তু সমস্যা হল, দেহে যে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে, এটাই অনেকে বুঝতে পারেন না। কিছু উপসর্গ রয়েছে, যা দেখলে আগে থেকে সর্তক হওয়া যায়। এগুলো রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তাই এই লক্ষণগুলোকে এড়িয়ে যাবে না।
১) পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি শরীর থেকে ক্লান্তি যেতে না যায়, বুঝবেন দেহে আয়রনের ঘাটতি হচ্ছে। বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি কাজ করার এনার্জি না পান, তাহলে সতর্ক হন। আয়রনের ঘাটতি থাকলে কোষেপর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছয় না, ফলে ক্লান্তি তৈরি হয়।
২) দেহে আয়রনের ঘাটতি তৈরি হলে মস্তিষ্ক সহ শরীরের নানা অংশে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হয়। তখনই মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়।
৩) দেহের প্রতিটা অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন না পৌঁছালে বুকেও ব্যথা হয়। নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা না থাকেও ঘন ঘন বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ লাগান অনুভব করতে পারেন।
৪) দেহে আয়রনের ঘাটতি থাকলে ত্বক ফ্যাকাশে দেখা দেয়। ত্বক বিবর্ণ দেখায়। ত্বকের জেল্লা কমে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো এড়িয়ে যাবেন না।
৫) নখ একটু বড় হতেই ভেঙে যাচ্ছে? আয়রনের অভাবে এই ঘটনাও ঘটতে পারে। দেহে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে। নখ দুর্বল হয়ে ভেঙে যেতে পারে।
দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে শুধু সাপ্লিমেন্ট খেলে চলবে না। ডায়েট নিয়েও সচেতন হতে হবে। মাংসের মেটে, পালং শাক, বিভিন্ন ধরনের ডাল, রেড মিট, কুমড়োর দানা, কিনোয়া, ব্রকোলি, মাছ ইত্যাদি খাবারে আপনি দেহে আয়রনের অভাব পূরণ করতে পারেন।