Health News: জামা নিংড়ালে হাতে ব্যথা করে? নেপথ্যে কোন কারণ লুকিয়ে?
অনেকে ভেজা জামাকাপড়ের জল নিংড়ানোর সময় হাতের তালুতে ব্যথা অনুভব করেন। জানেন এর নেপথ্যে কোন কারণ রয়েছে? চিকিৎসকদের মতে, এমনটা হলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

সারাদিন ধরে বাড়ির নানা কাজ করতে গিয়ে সকল ব্যথা-যন্ত্রণাগুলোকে অনেকেই উপেক্ষা করেন। প্রত্যেকের বাড়িতে যে টুকি টাকি থেকে শুরু করে বড়সড় কাজের জন্য কোনও আলাদা ব্যক্তি থাকবেন, তেমনটাও নয়। অনেকে নিজের বাড়ির সব কাজ নিজেই করেন। বাসন মাজা, ঘরে ঝাঁট দেওয়া, রান্না করা, কাপড় কাচা— কোনও কিছুই বাদ যায় না। অনেকে ভেজা জামাকাপড়ের জল নিংড়ানোর সময় হাতের তালুতে ব্যথা অনুভব করেন। নেপথ্যে কোন কারণ? চিকিৎসকদের মতে, এমনটা হলে সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। চলুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হাতের কব্জির স্নায়ুতে কোনওভাবে আঘাত লাগলে এই ধরনের সমস্যা হয়। চিকিৎসার পরিভাষায় এই অবস্থাকে বলে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি। যদি কোনও ব্যক্তির দীর্ঘদিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা অনিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে, তা হলে স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যার ফলে এমন ব্যথা হতে পারে। এখানেই শেষ নয়। কোনও রকম দুর্ঘটনায় চোট বা আঘাত লাগলেও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না?
- যদি কেউ স্নায়ুতে আঘাত পায়, তা হলে হাতের মুঠোতে কোনও রকম জোর থাকে না। সেই সঙ্গে পেশিও অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ে।
- ঘনঘন মনে হয়, হাত থেকে জিনিস পড়ে যেতে পারে। সর্বক্ষণ মনে একটা আশঙ্কা কাজ করে।
- আচমকা কোনও কারণ ছাড়াই হাত অবশ হয়ে গেলে বুঝতে হবে হাতের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
- হাতে ঝিঁঝিঁ ধরার মতো যদি লক্ষণ দেখা যায়, তা হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
- অনেক সময় হাতের ব্যথা একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে শুরু করে ক্রমশ অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
অনেক সময় হাতে আচমকা ব্যথা হলে কেউ কেউ ফিজিওথেরাপি করান। যার ফলে সাময়িক আরাম পান অনেকেই। কিন্তু এই সমস্যা বাড়লে তা না এড়িয়ে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
