AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tongue: ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তার ইঙ্গিত মিলবে জিভেই!

একজন সুস্থ ব্যক্তির জিভের রঙ গোলাপী হওয়া উচিত। ছোট ছোট প্যাপিলা দিয়ে আবৃত হওয়া উচিত। আপনার জিহ্বার স্বাভাবিক চেহারা বদলে গেলে বুঝতে হবে শরীরের কোথাও কোনও অসুবিধা তৈরি হয়েছে।

Tongue: ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তার ইঙ্গিত মিলবে জিভেই!
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2021 | 5:28 PM
Share

আগে ছোটবেলায় ডাক্তারের কাছে চিকিত্‍সার জন্য গেলে প্রথমেই নাক, গলা, জিভ দেখতেন। নাড়ি টিপে কিছুক্ষণ পরীক্ষা করার পর স্টেথো দিয়ে বুকের উপর দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেন। এমন সবকিছু এখন নস্টালজিয়া। সেই সময় অনেকের মাথাতেই জিজ্ঞাসা আসতেই পারে, ডাক্তার কেন জিভ দেখতে চাইলেন? সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা অভিযোগের মধ্যে এটিও একটি অভিযোগ। কারণ বর্তমান চিকিত্‍সা পদ্ধতিতে নানান পরিবর্তন দেখা গিয়েছে।

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ইউএসএ-র পরিবারিক চিকিত্‍সক ড্যানিয়েল অ্যালান জানিয়েছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তির জিভের রঙ গোলাপী হওয়া উচিত। ছোট ছোট প্যাপিলা দিয়ে আবৃত হওয়া উচিত। আপনার জিহ্বার স্বাভাবিক চেহারা বদলে গেলে বুঝতে হবে শরীরের কোথাও কোনও অসুবিধা তৈরি হয়েছে।

সাদা আবরণ বা সাদা দাগ- জিভের মধ্যে সাদা দাগ বা সাদা আবরণ তৈরি হলে বুঝতে হবে আপনি ওরাল থ্রাশ অথবা লিউকোপ্লাকিয়ায় আক্রান্ত। যাঁরা তামাকজাত জিনিস খান, তাঁদের জিভের মধ্যে জ্বালা ভাব দেখা যায়। লিউকোপ্লাকিয়া ক্য়ানসারের পূর্ব অবস্থা। তবে এটি কখনও বিপজ্জনক নয়। ওরাল লাইকেন প্ল্যানাসের জন্য তেমন কোনও ব্যবস্থা নিতে হয় না,তবে নিজে থেকেই সমাধান হয়ে যায়।

লাল দাগ বা লাল রঙের জিভ- জিহবার রঙ যদি প্রায়শই লাল রঙের দেখা যায়, তাহরে ভিটামিনের অভাবের কারণে দেখা যায়। জিভের উপরপৃষ্ঠে লাল দাগের মানচিত্রের মতো প্যাটার্ন তৈরি করে। স্কারলেট জ্বর, এটি একটি সংক্রামক, যা জিভ স্ট্রবেরির মতো চেহারা ধারণ করে। যা কাওয়াসাকি রোগের কারণ হতে পারে। ভিটামিনের ঘাটতি দেখা দিলে রক্তের মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়। লাল রঙের জিভ জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হতে পারে। শিশুদের ক্ষেত্রে স্ট্রবেরির রঙের জিভে লক্ষণ দেখা দিলে কাওয়াসাকি রোগ একটি বিপজ্জনক সংক্রমণ।

আড়ষ্ট জিহ্বা- জিহ্বায় বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি থাকে, তবে কারণটি আপনার নিজের দাঁত দ্বারা দুর্ঘটনাক্রমে কামড়ানো বা স্ক্যাল্ডিংয়ের কারণে ট্রমা হতে পারে। ধূমপান সংক্রান্ত ব্যথা হতে পারে। অন্যান্য কারণেও মুখে ঘা হতে পারে। তবে এক বা দু সপ্তাহের মধ্যে চিকিত্‍সা ছাড়াই সেরে যেতে পারে। যদি সেই ঘা ২ সপ্তাহের বেশি দিন ধরে থেকে থাকে, তাহলে তা মুখের ক্যানসারের লক্ষণ হিসেবে গণ্য হতে পারে।

কালো রঙের জিহ্বা- অনেকটা চুলের মতো, আপনার জিহ্বায় প্যাপিলা আপনার সারা জীবন ধরে বৃদ্ধি পায়। কিছু লোকের মধ্যে, তারা অত্যধিক লম্বা হয়ে যায়, যার ফলে তাদের ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সাধারণত, এটি একটি গুরুতর বা উদ্বেগজনক অবস্থা নয় এবং ভাল মৌখিক স্বাস্থ্যবিধি পর্যবেক্ষণ করার পরে এটি নিজেই সমাধান করে। ডায়াবেটিস রোগী, অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ বা কেমোথেরাপি গ্রহণ করলেও কালো লোমযুক্ত জিহ্বা হতে পারে। তাদের অবশ্যই ভাল যত্ন এবং চিকিৎসা পরামর্শ নিতে হবে।

জিভ কীভাবে পরিস্কার ও সুস্থ রাখবেন

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের ডাঃ অ্যালানের মতে, প্রত্যেকেরই প্রতিদিন জিভ পরীক্ষা করা উচিত।

– প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করার সময় জিভেরও ব্রাশ করা প্রয়োজন। জিভ পরিস্কার করার সময় সচেতন ভাবে জিভ পরীক্ষা করুন।

– প্রথম দেখায় আতঙ্কিত হবেন না। লক্ষণগুলি ২ সপ্তাহের মধ্যে চলে না গেলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন।

– যে কোনও বিবর্ণতা, পিণ্ড, ঘা বা ব্যথা একজন চিকিৎসকের দ্বারা পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করা উচিত।

আরও পড়ুন: