Lactose Intolerance: দুধ চা খেলেই পেট ফেঁপে গ্যাস হয়? জানুন কোন রোগ হয়েছে আপনার
Milk Side Effects: অন্ত্রে ল্যাকটোজ এনজাইম কম পরিমাণে তৈরি হলেই সেখান থেকে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা হয়। আর শরীরে যদি কম পরিমাণে ল্যাকটোজ তৈরি হয় তাহলে দুধ হজম করা যায় না
ঘন করে দুধ, চিনি, এলাচ, আদা দিয়ে চা খেতে কার না আর ভাল লাগে। কিন্তু এই চায়ে দু- চুমুক দেওয়া মানেই বিপত্তি। এর অনেক কারণ রয়েছে। দুধ-চায়ে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। তার মধ্যে চিনি পড়লে আর রক্ষে নেই। আর দুধ-চা সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের রোগীদের জন্যেও কিন্তু একেবারে ভাল নয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের দুধ সহ্য হয় না। লিভারের কোনও সমস্যা থাকলে বা যাঁদের সামান্যতেই হজমের অসুবিধে হয় তাঁদের দুধ-চা খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এমনকী দুধের তৈরি যে কোনও খাবারই এড়িয়ে যাওয়া ভাল। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে ৬০-৬৫ শতাংশ লোক ভুগছেন ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতায়। যদিও এটি যে খুব গুরুতর সমস্যা এমনও নয়। তবে চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে সেখান থেকে হতে পারে অস্টিওপেনিয়া, অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড় সংক্রান্ত নানা অসুখ। যা কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে সারে না।
ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা কি?
মায়ো ক্লিনিক জানাচ্ছে অন্ত্রে ল্যাকটোজ এনজাইম কম পরিমাণে তৈরি হলেই সেখান থেকে ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা হয়। আর শরীরে যদি কম পরিমাণে ল্যাকটোজ তৈরি হয় তাহলে দুধ হজম করা যায় না। এই ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার তিনটি ধাপ থাকে। প্রথম দাপ হয়, যাঁরা সারাজীবন দুধ খেতে পারেন না। দ্বিতীয় স্তর হল যাঁদের দুধ খেলেই ডায়ারিয়ার সমস্যা হয়। অর্থাৎ এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকে সেই সমস্যা। আর কিছুজনের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা হল জিনগত।
ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার লক্ষণ
ল্যাকটোজ হজম না হলে সেখান থেকে সমস্যা সাধারণত ৩০ মিনিট পর শুরু হয়। এর মধ্যে প্রধান যেগুলি থাকে তা হল- ডায়ারিয়া বমি বমি ভাব, কখনও বমি পেটে ব্যথা পেট ফেঁপে যাওয়া গ্যাস হওয়া
কাদের মধ্যে সমস্যা বেশি হয়?
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সমস্যা সবচাইতে বেশি হয়। এছাড়াও শিশুদের মধ্যে সমস্যা বেশি হয়। সিলিয়াক এবং ক্রোনস ডিজিজেও এই একই সমস্যা হয়। যাঁদের কোলনে সমস্যা রয়েছে বা কোলন ক্যানসারের জন্য রেডিয়েশন থেরাপি চলছে তাঁদের ল্যাকটোজ একেবারেই এড়িয়ে যেতে বলা হয়। কারণ এখান থেকে হতে পারে অ্যালার্জির সমস্যা।
তাই যা কিছু খাবেন না
দুধ খেলেই যদি গ্যাস হয়ে যায় তাহলে দুধ, পনির, মাখন, দই, আইসক্রিম, দই, দুগ্ধের শরবত, বাটারমিল্ক, টক ক্রিম, হুইপড ক্রিম, দুধ থেকে তৈরি মিষ্টি ইত্যাদি খাবেন না। গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন।
কখন যাবেন চিকিৎসকের কাছে
দুধের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালশিয়াম থাকে বলেই দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু দুধ খেলেই যদি গ্যাস, অম্বল, পেটল ফাঁপার মত সমস্যা হয় তাহলে দুধ একেবারেই নয়। খাবেন না দুধ চাও। যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।