শীতকালের অতিপরিচিত ছবি প্রচুর বাড়িতে সর্দি-কাশির সমস্যা। আট থেকে আশি বছরের এই সময়টায় নানান সমস্যায় ভোগেন। শীতে অনেকের শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়। যাঁরা হাঁপানির রোগী, তাঁদের সমস্যা অনেকটা বেড়ে যায়। কেন শীতে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়ে? নেপথ্যে শীতের বাতাসের বড় ভূমিকা রয়েছে। TV9 Bangla-র হেলথ প্লাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডক্টর সুজন বর্ধন। তিনি শীতে সুস্থ থাকার নানা উপায় জানিয়েছেন। সেখানেই উল্লেখ করেছেন, শীতে শ্বাসকষ্টের জন্য অত্যন্ত দায়ী বাতাস।
ঋতু পরিবর্তনের সময় ছোট, বড় সকলের শরীরেই নানা সমস্যা তৈরি হয়। ঘরে ঘরে কাশি, জ্বর, সর্দি লেগে থাকে। শীতে শ্বাসযন্ত্রেরও নানা সমস্যা তৈরি হয়। এ বিষয়ে সিনিয়র কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট ডক্টর সুজন বর্ধন অনেকটাই দায়ী করছেন শীতের বাতাসকে। তিনি বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের সময়, শীত আসার সময় আমরা বেশ কিছু সমস্যার মুখে পড়ি। শীতের বাতাস খুব শুষ্ক। ঠান্ডা বাতাস। যা শরীরকে কষ্ট দেয়।’
ডক্টর সুজন বর্ধনের কথায়, ‘আমাদের শ্বাসনালির ভিতরে ছোট্ট একটা ফিল্ম থাকে। তা এই ঠান্ডা বাতাস শুকিয়ে দেয়। ঠান্ডা বাতাস শ্বাসনালিতে ধাক্কা দিলে বেশি পরিমাণে কফ তৈরি হয়। শ্বাসনালি চুপসে যায়। সিওপিডি, অ্যাজমার রোগী, ছোট বাচ্চাদের শারীরিক সমস্যায় হয়।’
সিওপিডির রোগীদের শীতে বাড়াবাড়ি হয়। ডক্টর সুজন বর্ধন বলছেন, ‘শীতে ঠান্ডা হাওয়া বাতাস এড়িয়ে চলা। কান, গলা ও নাক ঢেকে বাড়ির বাইরে বেরোতে হবে। প্রয়োজনে স্কার্ফ নাকে ঢাকা রাখুন। ঠান্ডা শুকনো বাতাস যখন স্কার্ফের মধ্যে দিয়ে নাকের ভেতর যাচ্ছে, তখন সেই পরিমাণ ঠান্ডা থাকছে না। যার ফলে গলার চুলকানিও কমে।’