মুম্বই: সরকারি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, আয়োজন হয়েছিল বিশাল। কিন্তু আসল জিনিসেরই ব্যবস্থা নেই! দিনের বেলায় প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের, অথচ আগত হাজার হাজার মানুষের মাথার উপরে কোনও ছাউনির ব্যবস্থাই নেই। রবিবার মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) নভি মুম্বইয়ের খারঘরে আয়োজন করা হয়েছিল মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের। সেখানে প্রবল গরম ও তাপপ্রবাহে (Heat Wave) কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে পড়েন ১২০ জনেরও বেশি। এই ঘটনার পরই প্রশাসনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে সাধারণ মানুষ। ১১ জনের মৃত্যুর জন্য সরকারের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।
রবিবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, নভি মুম্বইয়ের খারঘরে আয়োজিত মহারাষ্ট্র ভূষণ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হিটস্ট্রোকে (Heat Stroke) মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ১২০ জন। অসুস্থদের সঙ্গে সঙ্গে খারঘরের টাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
#WATCH| Maharashtra: People being taken to Tata Hospital in Kharghar after they suffered from heatstroke during Maharashtra Bhushan Award ceremony pic.twitter.com/HWw0w5J5bh
— ANI (@ANI) April 16, 2023
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের সমাজকর্মী দত্তাত্রেয় নারায়ণকে পুরস্কৃত করার জন্যই আয়োজন করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দত্তাত্রেয়র হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, যিনি ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, তিনিও খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে টাটা হাসপাতালে যান। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে হিটস্ট্রোকে যাদের মৃত্য়ু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ১১টা থেকে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল, দুপুর ১টা অবধি অনুষ্ঠান চলে। তবে সকাল থেকেই সাধারণ মানুষ ওই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। বেলা বাড়তেই চারিদিক ঘেরা ওই জায়গায় ভিড়ে জমজমাট হয়ে যায়। চারিদিকে অডিয়ো ও ভিডিয়ো জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা থাকলেও, সাধারণ মানুষদের বসার ব্যবস্থা খোলা জায়গাতেই করা হয়েছিল। মাথার উপরে কোনও ছাউনির ব্যবস্থাও ছিল না।
দিনভর প্রখর রোদের মধ্যে বসে থাকার কারণেই ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং শতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনার পরই সরকারি অনুষ্ঠানে অব্য়বস্থার অভিযোগ আনা হয়েছে।