Job Crisis in Madhya Pradesh: পিওন পদে আবেদন পিএইডি-এমবিএ পাশ যুবকদের! চাকরির আশায় ভিড় জমাচ্ছেন ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও

Job Crisis in Madhya Pradesh: চাকরির খোঁজে আসা এক যুবক জানান, তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক, কিন্তু আবেদন করেছেন পিওন পদের জন্য। যাদের পিএইচডি রয়েছে, তারাও এই লাইনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা যায়।  অন্যদিকে, আইন পাশ এক যুবক, যিনি বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় বসবেন, তিনি গাড়ি চালকের পদে আবেদন করেছেন।

Job Crisis in Madhya Pradesh: পিওন পদে আবেদন পিএইডি-এমবিএ পাশ যুবকদের! চাকরির আশায় ভিড় জমাচ্ছেন ভিন রাজ্যের বাসিন্দারাও
চাকরি প্রার্থীদের ভিড়। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 29, 2021 | 8:32 AM

ভোপাল: শূন্যপদ মাত্র ১৫টি। পিওন(Peon), গাড়ির চালক (Drivers) ও নিরাপত্তারক্ষী(Watchman)-র চাকরির আবেদনে প্রায় ১১ হাজার প্রার্থীর ভিড়ে উঠে এল রাজ্যের কর্মসংস্থানের (Job Crisis) ভয়ঙ্কর চিত্র। পিওন পদে চাকরির জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা দশম শ্রেণি পাশ চাওয়া হলেও, স্নাতক(Graduate), স্নাতকোত্তর(Post Graduate), পিএইচডি(PhD), এমবিএ(MBA), ইঞ্জিনিয়ারিং (Engineering) পাশ, এমনকি আইন (Law Graduate) পাশ ও বিচারক পদে নিয়োগ হওয়া অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরাও আবেদন করেছেন।

১৫টি শূন্য়পদে আবেদনকারী ১১ হাজার:

মধ্য প্রদেশ(Madhya Pradesh)-র গোয়ালিয়রে (Gwalior) সম্প্রতিই পিওন, চালক ও নিরাপত্তারক্ষীর পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। শনিবার ও রবিবার সেই পদে আবেদন ও পরীক্ষা দিতেই ভিড় জমান প্রায় ১১ হাজার বেকার যুবক-যুবতী। শুধু মধ্য় প্রদেশ থেকেই নয়, পার্শ্ববর্তী উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) থেকেও অনেকে এসেছেন চাকরির খোঁজে।

চাকরির খোঁজে আসা এক যুবক জানান, তিনি বিজ্ঞানে স্নাতক, কিন্তু আবেদন করেছেন পিওন পদের জন্য। যাদের পিএইচডি রয়েছে, তারাও এই লাইনে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা যায়।  অন্যদিকে, আইন পাশ এক যুবক, যিনি বিচারক হওয়ার পরীক্ষায় বসবেন, তিনি গাড়ি চালকের পদে আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, “টাকার এত অভাব যে বই কেনার টাকাও থাকে না। ভাবলাম এখানে চাকরি পেয়ে গেলে যদি কিছুটা অর্থ সঙ্কট দূর করতে পারি।”

মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি:

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, এমনকি ভিন রাজ্য থেকেও বেকার যুবকরা চাকরির খোঁজ করতে আসায় প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান(Shivraj Singh Chouhan)-র সাম্প্রতিক বক্তৃতা ঘিরে। কয়েক দিন আগেই তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “আমরা প্রতি বছর এক লক্ষ যুবক-যুবতীকে চাকরি দেব। যে পদগুলি দীর্ঘ সময় ধরে ফাঁকা পড়ে রয়েছে, সেগুলি পূরণ করতে কোনও খামতি রাখা হবে না। সবাই চায় সরকারি করতে, কিন্তু আমি সত্যিটা বলছি যে প্রত্যেক পড়ুয়াকে সরকারি চাকরি দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সকলের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।”

রাজ্যে শূন্যপদ:

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ও রাজ্যের কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান সম্পূর্ণ আলাদা গল্প বলে। বর্তমানে মধ্য প্রদেশে এমপ্লয়মেন্ট রেজিস্ট্রেশন অফিসে আবেদনকারীর সংখ্যা হল ৩২ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৩৬। এদিকে, রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরেই ৩০ হাজার ৬০০ পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরে ৯৩৮৮, স্বাস্থ্য দফতরে ৮৫৯২ এবং রাজস্ব বিভাগে ৯৫৩০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ পদ ফাঁকা রয়েছে।

রাজ্যে প্রচুর শূন্যপদ থাকলেও, সেই পদগুলিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায়, কম বেতনের পিওন বা গাড়ি চালকের পদেই আবেদন করছেন বেকার যুবক-যুবতীরা। সম্প্রতিই ফুটপাথে দোকানদার নিয়ে চালু একটি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য ১৫ লক্ষ আবেদন জমা পড়ে, এর মধ্যে ৯৯ হাজার আবেদন গৃহীত হয়। আবেদনকারীদের ৯০ শতাংশই স্নাতক পাশ ছিলেন।

আরও পড়ুন: Teenager’s Vaccination Preparation: ভিন্ন টিকাকেন্দ্র ও প্রশিক্ষণের পরামর্শ কেন্দ্রের, ছোটদের জন্য কোন রাজ্য কী প্রস্তুতি নিচ্ছে?