ভোপাল: নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল একটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের মালিক ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার ছাত্রীর বোন ওই ধর্ষণ করার বিষয়টি দেখে ফেলেছিলেন। এর পর বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশের তিকামগড় জেলার একটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুলে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিকামগড় জেলার খড়্গপুর থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে রয়েছে ওই রেসিডেন্সিয়াল স্কুল। জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই স্কুল। সেই স্কুলে প্রথম থেকে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩০ জন পড়ুয়া রয়েছে। খড়্গপুর থানার স্টেশন ইন চার্জ নীতেশ জৈন জানিয়েছেন, ওই স্কুল অবৈধ ভাবে চলছে। সেই স্কুলেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ছিল ওই নাবালিকা। ১১ বছরের ওই ছাত্রী স্কুলের হস্টেলে থাকত। তার বাবা-মা অন্য শহরে থাকেন এবং শ্রমিকের কাজ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্কুলের মালিক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। অভিযুক্তের ভাইও ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ওই ছাত্রীর বোন নির্যাতনের বিষয়টি দেখে ফেলার সময় গোটা ঘটনা সামনে আসে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬, ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পকসো আইনের নির্দিষ্ট ধারাতেও মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। ঘটনার তদন্ত চলছে।