স্ত্রী-প্রেমিকা ‘না’ করে দিয়েছিল, শরীর ভোগ করতে পাড়ার বাচ্চা ছেলেটার সঙ্গেই ঘৃণ্যতম কাজ করল দুই বন্ধু! খবরটা শুনে শিউরে উঠছে পড়শিরাও

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 10, 2025 | 7:15 AM

Crime: গত ৫ মার্চ  জিমে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোর। পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরেরদিন। গোটা এলাকায় যখন তারা নিজেরাই ছেলের খোঁজাখুঁজি করছিলেন, সেই সময় এক প্রতিবেশী এসে বলেন যে মোবাইল চেক করতে, অপহরণ হয়ে থাকলে অপহরণকারীরা নিশ্চয়ই মুক্তিপণ চেয়েছে।

স্ত্রী-প্রেমিকা না করে দিয়েছিল, শরীর ভোগ করতে পাড়ার বাচ্চা ছেলেটার সঙ্গেই ঘৃণ্যতম কাজ করল দুই বন্ধু! খবরটা শুনে শিউরে উঠছে পড়শিরাও
ঘটনাস্থলে পুলিশ।
Image Credit source: X

Follow Us

কানপুর: বিকৃত মানসিকতা। প্রেমিকার কাছ থেকে যৌন সম্পর্কে প্রত্যাখিত হয়ে বন্ধুর কাছে গিয়েছিল। সেখানে শুনল, বন্ধুরও একই অবস্থা। তাঁর স্ত্রীও শারীরিক সম্পর্কে ‘না’ করে দিয়েছে। যৌন চাহিদা মেটাতে তাই দুই বন্ধু মিলে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল। রাস্তায় দেখতে পাওয়া ১৩ বছরের এক কিশোরকেই ধর্ষণ করল তাঁরা। ধর্ষণের পর তাঁরা ওই কিশোরকে খুন করে বলেই অভিযোগ।

ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খোঁজ চলছে আরেক অভিযুক্তের। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ মার্চ  জিমে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যায় কিশোর। পরিবার নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরেরদিন। গোটা এলাকায় যখন তারা নিজেরাই ছেলের খোঁজাখুঁজি করছিলেন, সেই সময় এক প্রতিবেশী এসে বলেন যে মোবাইল চেক করতে, অপহরণ হয়ে থাকলে অপহরণকারীরা নিশ্চয়ই মুক্তিপণ চেয়েছে।

পরিবারের সকলের ফোন চেক করে দেখা যায়, সত্যিই নিখোঁজ কিশোরের কাকার ফোনে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হন ফের। এদিকে, যে ব্যক্তি মোবাইল চেক করার পরামর্শ দিয়ে গিয়েছিলেন, পুলিশ তাঁকেই জেরা করে। বয়ানে বেশ অসঙ্গতি মেলে। এরপরই পুলিশ চাপ দিলে অভিযুক্ত মুখ খোলে এবং যাবতীয় অপরাধ স্বীকার করে নেয়।

অভিযুক্ত জানায়, রমজান মাস চলায় তাঁর প্রেমিকা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে না করে দিয়েছিল। তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যায়, সেখানে গিয়ে জানতে পারে বন্ধুরও একই অবস্থা। তাঁর স্ত্রী-ও যৌনতায় না করে দিয়েছে। শরীরের খিদে মেটাবে কী করে, এই কথাই যখন ভাবছিল অভিযুক্তরা, তখন পাড়ার পরিচিত ওই কিশোরকে দেখে।

কলগার্লের সঙ্গে দেখা করাবে- এই অছিলা দিয়েই অভিযুক্তরা কিশোরকে জঙ্গলে এনে হাত-পা বেঁধে রাখে এবং ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।  ধর্ষণের পর গলায় দড়ি জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে এবং নিকটবর্তী একটি কুয়োয় দেহ ফেলে দেয়। পুলিশ দ্বিতীয় অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

Next Article