Heart Attack at young age: মাত্র ১৭ বছর বয়সে হার্ট অ্যাটাক কিশোরীর! অবাক চিকিৎসকরাও
Heart Attack at young age: সঞ্জনার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, চার মাস আগে টাইফয়েড হয়েছিল ওই কিশোরীর। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল অনেক। ক্রমে ভাল হয়ে উঠেছিল সে। আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিল।
ইনদওর: কলেজ থেকে ফিরে বাড়িতে স্বাভাবিক কাজকর্মই করছিল মেয়েটি। পরিবারের সবার সঙ্গে বসে নৈশাহারও সারে প্রতিদিনের মতোই। তারপর হঠাৎ করে অস্বস্তি বাড়তে থাকে তার। দরদর করে ঘাম আর বুকে ব্যাথা শুরু হতেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন অভিভাবকেরা। দ্রুত ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। তার আকস্মিক মৃত্যু অবাক করেছে গোটা পরিবারকে।
মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের ঘটনা। মৃত কিশোরীর নাম সঞ্জনা যাদব। কিশোরীর বা তার কোনও আত্মীয়ের হৃদরোগ বা হার্টের কোনও সমস্যা নেই। তাহলে কীভাবে হল এমন? উত্তর খুঁজছে পরিবার। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, হার্ট অ্যাটাকেই মৃত্যু হয়েছে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীর। তার অটোপ্সি রিপোর্ট করতে দেওয়া হয়েছে।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ড. এ ডি ভাটনগর ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’কে জানিয়েছেন আগে থেকে কোনও সমস্যা ছিল কি না জানা দরকার। হাইপারটেনশন, কোলেস্টেরলের মতো সমস্যা থাকলে এমনটা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। শীতকালে এই সমস্যাগুলির পরিণতি খারাপ হয়। তিনি মনে করেন, পরিবারের প্রত্যেকেরই পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন হার্টের কোনও সমস্যা আছে কি না।
সঞ্জনার পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, চার মাস আগে টাইফয়েড হয়েছিল ওই কিশোরীর। রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে গিয়েছিল অনেক। ক্রমে ভাল হয়ে উঠেছিল সে। আগের মতো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গিয়েছিল।
হার্ট অ্যাটাকের সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে, সাম্প্রতিক তথ্য দেখলেই তা স্পষ্ট হবে। গত ৬ মাসে শুধুমাত্র গুজরাটে ১০৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। এর মধ্যে অনেকেরই বয়স ১১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। চিকিৎসরা তাই নিয়মিত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন, যাতে কোনও সমস্যা থাকলে তা আগে থেকেই ধরা পড়ে যায়।