Republic Day: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যাক্রঁকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত
২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত। তবে, ম্যাক্রঁ আসার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে।
নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি হিসেবে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁকে আমন্ত্রণ জানাল ভারত। প্রথমে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কে। তবে, চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আসতে পারবেন না বাইডেন। এরপরই প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ফরাসী প্রেসিডেন্টকে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তবে, ম্যাক্রঁ আসার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রতি বছরই প্রধান অতিথি হিসেবে বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। সাধারণত এই আমন্ত্রণের মধ্য দিয়ে, ভারত সরকার, সংশ্লিষ্ট দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ককে তুলে ধরে।
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। এই মঞ্চ থেকে কূটনৈতি সম্পর্ক জোরদার করার কাজও করা হয়। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভারত ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে চুক্তি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই দেশ পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাফাল জেটের এয়ার শো-ও দেখা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে, প্যারিসে আয়োজিত ব্যাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁকে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মানও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময় নয়া দিল্লিতে এসেছিলেন ম্যাক্রঁ এবং বাইডেন দুজনেই। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছু না বলা হলেও, ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গার্সেটি জানিয়েছিলেন, সেই সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে, চলতি মাসের শুরুতেই জানা যায়, পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় আসতে পারবেন না বাইডেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেক মহল থেকে বলা শুরু হয়েছিল, মার্কিন মুলুকে ভারতীয় সন্ত্রাসবাদীর হত্যার ষড়যন্ত্র নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী মোদী সাফ জানিয়েছেন, ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বন্ধন এত ঠুনকো নয়, যে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার অবনতি ঘটবে।