নিউ দিল্লি: নিম্নমুখী করোনা(Corona)সংক্রমণ। গতকাল ২০ হাজার পেরোলেও সংক্রমণের গ্রাফ আজ ২০ হাজারের নিচে রয়েছে। তবে দেশজুড়ে যেহেতু চলছে উৎসবের মরশুম, সেই কারণে সংক্রমণে দাড়ি টানতে বারবার সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে (India) নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৭৪০ জন। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ২১ হাজার ২৫৭ জন। এদিকে আবার করোনাকে (Corona) হারিয়ে দেশে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যা সামান্য কমেছে। ২৩ হাজার ৭০ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এদিকে, ওঠা-নামা করছিল দেশের মৃত্যুর (Corona Death) গ্রাফ। একদিনে মৃতের সংখ্যা স্থিতিশীল নয়। গত একমাস যাবত সংখ্যাটা কখনও বড়ে ৩০০-র গণ্ডি ছুঁয়েছে। কখনও বা কমে ২০০ ঘোরাফেরা করেছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৪৮ জন।
উৎসবের মরশুমে কেরলে (Kerala) বেড়ে গিয়েছিল আক্রান্তের সংখ্যা। বিগত কয়েকদিন সংখ্যাটা কখনও বেড়েছে কখনও বা কমেছে। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হচ্ছে কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৯৪৪ জন । এর আগে মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু পুনরায় সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত সামান্য বেড়ে গিয়েছে। সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬২০ জন। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতেও বেড়ে গিয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে আক্রান্তে হয়েছেন ১ হাজার ৩৫৯ জন। চতুর্থস্থানে থাকা কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৩৯৭ জন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গে (WestBengal) ক্রমাগত বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সামনেই পুজো। আর তার কারণে উৎসবমুখী মানুষ। একাধিকবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাস্ক পরতে এবং যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয় চলতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৮৮২ জন।
এদিকে, উত্তর প্রদেশের মতো বড় রাজ্যে কিন্তু সংক্রমণের রিপোর্ট অনেকটাই কম। গোটা রাজ্যে দৈনিক মোট আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১১ জন। বিগত দু’সপ্তাহ ধরে এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ এর নীচেই রয়েছে। তবে মোট মৃতের সংখ্যা ২২ হাজারের আশে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে। অন্যদিকে, রাজধানী দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ জন। অন্যদিকে, গত কয়েকদিন ধরে ভাবাচ্ছিল মিজ়োরামের সংক্রমণের গ্রাফ। এখনও সেই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ভাবাচ্ছে দেশকে। গত ২৪ ঘণ্টায় ফের আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৩০২ জন।
টিকাকরণের (Corona Vaccine) হার বাড়িয়ে করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রেণে রাখার চেষ্টা চলছে দেশজুড়ে। তবে কলকাতায়(Kolkata) পুজোর চারদিন বন্ধ থাকবে টিকাকরণ।
আরও পড়ুন: COVID-19: কোভিড-১৯ মাস্ক না পরলে ২ মিটার শারীরিক দূরত্ব যথেষ্ট নয়! নয়া তথ্য প্রকাশে বাড়ছে উদ্বেগ