COVID-19: কোভিড-১৯ মাস্ক না পরলে ২ মিটার শারীরিক দূরত্ব যথেষ্ট নয়! নয়া তথ্য প্রকাশে বাড়ছে উদ্বেগ
আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে বায়ুবাহিত ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম প্রধান উত্স হল কাশি। এই গবেষণার মাধ্যমে বোঝা যায় যে সংক্রামক কণা উত্স থেকে তার আশেপাশে কীভাবে ছড়িয়ে পরে।
কুইবেক, ইলিনয় এবং টেক্সাসের গবেষকদের মতে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঘরের ভিতরে ২ মিটার শারীরিক দুরত্বের নির্দেশিকা কোনও কাজে লাগবে না। বাড়ির ভিতর করোনাভাইরাস ঠেকাতে মাস্ক পরাটা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সেই সূত্রেই এই গবেষণা করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, মাস্ক না পরা থাকলে ২ মিটারের শারীরিক দুরত্বের নির্দেশিকা যথেষ্ট নয়। বিল্ডিং অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফলে এই কথাই উল্লেখ রয়েছে।
ঘরের মধ্যে বায়ুবাহিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার পরিধি প্রায় ৬৭ শতাংশ কমাতে মাস্ক পরা জরুরি। গবেষশকদের মতে, কোভিড ১৯-এপ সংক্রামক প্রজাতির বিস্তার রোধ করার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক ও ভাল বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই গবেষণায় গবেষকরা জানিয়েছেন, যখন মানুষ মাস্ক পরে থাকছেন না, তখন ৭০ শতাংশেরও বেশি বায়ু বাহিত জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ২ মিটার সীমা অতিক্রম করে। অন্যদিকে মাস্ক পরা থাকলে ১ শতাংশেরও কম বায়ুবাহিত জীবাণু ২ মিটার সীমা অতিক্রম করে।
তরল ও গ্যাসের মাধ্যমে জীবাণুগুলি প্রবাহিত হচ্ছে কিনা তা গবেষণা সাপেক্ষ। আর সেই কাজেই মনোনিবেশ করেছেন ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি ডি শেরব্রুক, টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্দার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞের একটি দল। ঘরের ভিতর কাশির গতিবিধি সঠিকভাবে অনুকরণ করার জন্য একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে।
আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে বায়ুবাহিত ভাইরাস ছড়ানোর অন্যতম প্রধান উত্স হল কাশি। এই গবেষণার মাধ্যমে বোঝা যায় যে সংক্রামক কণা উত্স থেকে তার আশেপাশে কীভাবে ছড়িয়ে পরে। এছাড়া বায়ুবাহিত মারাত্মক জীবাণু ঠেকাতে মাস্ক পরার পরামর্শ ও নির্দেশিকা জারি করা সময় এসেছে। পরিবেশে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচারও দরকার বলে মনে করেছেন এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: Farts: অতিরিক্ত বাতকর্ম বা অ্যাসিডিটি মানসিক অবসাদের লক্ষণ! নয়া তথ্য প্রকাশ