শ্রীনগর: পাক সীমানায় আরও ২ জঙ্গিকে খতম করল ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন ২ জওয়ান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই গুলি চলল পাক সীমান্তে। জম্মু বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর এটাই পাক সীমান্তে প্রথম এনকাউন্টার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, নজরদারি চলার সময় পাক সীমানার কাছে জঙ্গিদের মুখোমুখি হন নিরাপত্তারক্ষীরা।
সেখানেই জঙ্গিরা গুলি ও গ্রেনেড ছোড়ে। তারপর পাল্টা গুলি ছোড়ে সেনা। সেই গুলির লড়াইয়ে ২ জন জওয়ানও শহিদ হন। ২ জঙ্গি খতম হওয়ার পর এলাকায় তল্লাশি চালায় সেনা। গত ২৪ ঘণ্টাতেই একাধিক জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চালিয়ে পাঁচ জঙ্গিকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার কুলগাম ও পুলওয়ামাতেও জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াই হয়।
এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গিগোষ্ঠীর এক শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়। নিহত ওই জঙ্গির নাম মেহরাজুদ্দিন হালওয়াই আলিয়াস উবেইদ। মেহরাজুদ্দিন উত্তর কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপ পরিচালনা করত বলে জানা গিয়েছে। এরপর বেলা গড়াতেই কুলগাম জেলার জ়োদার এলাকাতেও জঙ্গি উপস্থিতির খবর মেলে। সেখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করতেই তা নিমেষে গুলির লড়াইয়ে পরিণত হয়। দীর্ঘক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গির দেহ উদ্ধার হয়।
পুলওয়ামার এনকাউন্টারেও দুই জঙ্গি এবং হাণ্ডওয়াড়ার এনকাউন্টারে একজন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে কেবল দু’জন জঙ্গির পরিচয়ই জানা গিয়েছে। হাণ্ডওয়াড়া এনকাউন্টারে হিজবুল মুজাহিদ্দিন জঙ্গি মেহরাজুদ্দিন হালওয়াই আলিয়াস উবেইদ ও পুলওয়ামা এনকাউন্টারে বুরহান ওয়ানির মৃত্যু হয়েছে। বুরহান দক্ষিণ কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনী ও সাধারণ মানুষকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: সপা সমর্থকের শাড়ি ধরে টানাটানি, অভিযুক্ত ‘যোগীর গুন্ডারা’