পটনা: নতুন সেতু, তার সামনেই তৈরি করা হচ্ছিল সাধারণ যাত্রীদের জন্য ছাউনি। কিন্তু কাজ হবে কী করে, রোজই চুরি যাচ্ছে লোহার টুকরো। এক সপ্তাহেই প্রায় এক কুইন্টালের বেশি লোহা চুরি হয়েছে। লোহা চোরকে ধরতে তক্কে তক্কে বসেছিলেন নির্মাণকর্মীও স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকেও চিহ্নিত করা হল। ব্যাস, তারপরই শুরু হল গণধোলাই। খুঁটিতে বেঁধে এমন মারধর করা হল দুই ব্য়ক্তিকে যে তারা সংজ্ঞা হারালেন। পরে পুলিশ এসে হস্তক্ষেপ করে এবং আহত দুই ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) মুজ়াফ্ফরপুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুজ়াফ্ফরপুরে একটি সেতুর কাছেই ছাউনি তৈরির কাজ চলছিল। কিন্তু ক্রমাগত লোহা চুরি যাওয়ায় বিরক্ত ছিলেন নির্মাণকর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তারা চোরের উপদ্রব নিয়ে অভিযোগ জানান। এরপরই শুরু হয় নজরদারি। রবিবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, চোর খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সন্দেহভাজন দুই যুবককে দেখেই তাড়া করেন তারা। হঠাৎ একদল মানুষ তেড়ে আসছেন, এই দেখে ওই দুই যুবকও ভয়ে দৌড় লাগান। কিন্তু কিছুদূর এগোতেই তাদের ধরে ফেলে স্থানীয় বাসিন্দারা।
এরপরই ওই দুই যুবককে চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেধে ফেলা হয় এবং মারধর শুরু করা হয়। নির্মমভাবে মারধরের জেরে সংজ্ঞা হারান দুই যুবকই। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে এবং থানায় নিয়ে যায়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, গণপিটুনি শুরু হওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা বাদে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ।
তদন্তকারী এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, চোর সন্দেহে যাদের মারধর করা হয়েছে, তারাও মুজ়াফ্ফরপুরেরই বাসিন্দা। সত্যিই তারা চুরি করেছিলেন কি না, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ আধিকারিক জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওই এলাকা থেকে লোহার টুকরো চুরি হচ্ছিল। বিগত এক সপ্তাহে কমপক্ষে এক কুইন্টালেরও বেশি লোহা চুরি গিয়েছে কাঠামো থেকে। রবিবার স্থানীয় বাসিন্দারা দুই যুবককে চোর সন্দেহে মারধর করতে শুরু করে।