চেন্নাই: ৩১ বছর পর গারদের বাইরে পা রেখেছেন, পেয়েছেন মুক্তির স্বাদ। তবে এত বছর পরও আত্মগ্লানি রয়েই গিয়েছে, তা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি আর কেউ নয়, রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত নলিনী শ্রীহরণ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত ১২ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয় নলিনীকে। জেল থেকে বেরিয়েই তিনি গান্ধী পরিবার সহ বিস্ফোরণে মৃত সকলের পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এবার রাজীব গান্ধীর মেয়ে তথা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রার সঙ্গে জেলে সাক্ষাতের কথাও বললেন নলিনী।
রবিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নলিনী শ্রীহরণ জানান, ২০০৮ সালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সেই সাক্ষাতে প্রিয়ঙ্কা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর বাবা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে। ভেলোর জেলে দেখা করতে এসে প্রিয়ঙ্কা জানতে চেয়েছিলেন কেন তাঁর বাবাকে হত্য়া করা হয়েছিল? যা কিছু তিনি জানতেন, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে সবকিছুই জানিয়েছিলেন নলিনী, এমনটাই তিনি দাবি করেন রবিবার।
রাজীব গান্ধীর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে জেলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, এমনকি কেঁদেও ফেলেন তিনি। ওই সাক্ষাতে আরও কিছু কথা হয়েছিল নলিনীর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর। কিন্তু প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ব্যক্তিগত বিষয় বলেই এই সম্পর্কে আর কথা বলতে চাননি রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই গত ১২ নভেম্বর মুক্তি দেওয়া হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সকলকে। দীর্ঘ ৩১ বছর ধরে তারা জেলবন্দি ছিলেন। জেল থেকে মুক্তির পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে নলিনী শ্রীহরণ বলেন, “ওই দিনের বিস্ফোরণে যারা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাদের পরিবারের জন্য আমি দুঃখিত। আমরা বহু বছর এই ঘটনা নিয়ে ভেবে কাটিয়েছি এবং আমরা সত্যি অনুতপ্ত। ওনারা (গান্ধী পরিবার ও বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবার) নিজেদের প্রিয় মানুষকে হারিয়েছিলেন। আশা করছি ওনারা এই দুঃখ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন কোনও সময়ে।” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন কি না, প্রশ্নের জবাবে নলিনী বলেন, “ওহ গড, প্লিজ না”।