৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা, উঠল অখণ্ড ভারতের ডাক

এ দিন ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূরণ উপলক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব তরুণ চুঘ।

৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ভূস্বর্গে তিরঙ্গা, উঠল অখণ্ড ভারতের ডাক
অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন বিজেপি নেতা তরুণ চুঘ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2021 | 1:00 PM

শ্রীনগর: দেখতে দেখতে কেটে গেল দুই বছর। দুই বছর আগে ৫ অগস্টই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ (Article 370)মুছে ফেলেছিল মোদী সরকার। এর জেরে বিশেষ মর্যাদা (Special Status) হারায় জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir)। লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীরকে তিনটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূরণ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব তরুণ চুঘ (Tarun Chugh)।

জম্মু-কাশ্মীরকে দেশেরই অংশ হিসাবে মানচিত্রে জায়গা করে দিতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল ৩৭০ অনুচ্ছেদের অবলুপ্তি।  ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ মুছে দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের “বিশেষ মর্যাদা” বিলুপ্ত করে দেওয়া হয়। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই সিদ্ধান্তে উপত্যকায় প্রথমে অশান্তির সৃষ্টি হলেও বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রশংসা হয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলেও।

এ দিন ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির দ্বিতীয় বর্ষপূরণ উপলক্ষ্যে ভারতীয় জনতা পার্টির তরফে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির রাষ্ট্রীয় মহাসচিব তরুণ চুঘ। তিনি শ্রীনগরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। “ভারত মাতা কি জয়” ও “আজাদ হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ” বলে স্লোগান দেন। অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের নামে নিজের স্বার্থ চরিতার্থের চেষ্টা করেছেন মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লা। তিনি দাবি করেন, কয়েক দশক পর বর্তমানে পাক-জঙ্গিরা পিছু হটতে বাধ্য় হয়েছে। কাশ্মীরের মানুষ শান্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন। বিনা বাধায় উন্নয়ন হচ্ছে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার।

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ৩টে অবধি একাধিক অনুষ্ঠানের চলে। বৃহস্পতিবার বিকেলেই তিনি আবার দিল্লি ফিরে আসেন।

উল্লেখ্য গত জুন মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু-কাশ্মীরের সমস্ত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং উপত্যকার হাল হকিকত জানতে চান। ,ঠিক সময়ে জম্মু-কাশ্মীরকে তার পুরনো গরিমা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন। আরও পড়ুন: ‘হামলার সময় দাঁড়িয়ে দেখছিল প্রশাসন’, হিন্দু মন্দিরে হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে তুলোধনা ভারতের